নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবনায় ডেঙ্গু আতঙ্কে মশারি কেনার ধুম পড়েছে। বাজারের দোকানের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ মশারি বিক্রেতাদের কাছ থেকেও স্থানীয় মানুষেরা কিনছেন মশারি।

গত ৭ দিনে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৯ রোগীকে ভর্তি করাহয়েছে। এর মধ্যে সোমবার নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। এখনো পাবনা জেনারেল হাসাপাতালে ২৬ জন চিকিৎসাধীন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।

এছাড়া শহরের বিভিন্ন বেসরকারি হাসাপাতাল এবং ক্লিনিকে আরো অন্তত ৩০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। সব মিলে ৭ দিনে ৭০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু রয়েছে।

মঙ্গলবার কুষ্টিয়া থেকে পাবনা শহরে মশারি বিক্রি করতে আসা আব্দুল মালেক বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকি। তবে বর্তমানে দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ায় মশারি বিক্রি করছি।

আনিছ নামে অপর এক বিক্রেতা জানান, বর্তমানে মশারির ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিক্রি খুব ভালো হচ্ছে। প্রতিটি মশারি ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০টাকা পর্যন্ত দরে তারা বিক্রি করছেন।

ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে মশারি কিনতে আসা নির্মাণ শ্রমিক কামাল হোসেন বলেন, এতদিন ঘরে কয়েল জ্বালিয়ে মশা তাড়ানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু বর্তমানে দেশে ডেঙ্গুর কথা শুনে এখন আবার মশারি কিনতে হচ্ছে।

কাপড় ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান দোকানে আগে যেখানে মাসে ৮০ থেকে ১০০টি মশারি বিক্রি হতো বর্তমানে ডেঙ্গু আতঙ্কে একদিনেই বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫০টি মশারি।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা সীমিত সাধ্যের মধ্যেও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বেশি প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি। ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সকল মহলকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে এবং জনসাধারনকে সচেতন করতে হবে।

পাবনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কেএম আবু জাফর জানান, জেলা শহর বাদে জেলার অন্য ৮টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি। রোববার ঈশ্বরদী হাসাপাতালে একজন ডেঙ্গু আক্রান্তকে ভর্তির পর পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ জনসাধারণকে ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করার পাশাপশি প্রতিরোধমুলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শুধু হাট-বাজার,বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করেই ডেঙ্গু বা মশা নিধন করা সম্ভব নয়। এ মশার উৎপত্তি ঘরেও হতে পারে। তাই সকল স্থানেই পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সবাইকে সজাগ হতে হবে।