ঢাকার আশুলিয়ায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে নজরুল ইসলাম (৩৪) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মারা গেলেন ২ জন। বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, নজরুলের শরীরে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বর্তমানে সাদেকুল ৫০ শতাংশ, হাশেম ৪৫ শতাংশ, কমলা বেগম ২০ শতাংশ ও মহসিন ১০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। গত শনিবার (১২ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে আশুলিয়ার ধানসোনা ইউনিয়নের নতুননগর এলাকার একটি টিনসেড বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই দগ্ধ ৬ জনকে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ৫০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান গার্মেন্টসকর্মী সাবিনা বেগম (৪০)।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সাবিনার স্বামী মোতালেব হোসেন জানান, তারা ধানসোনা ইউনিয়নের নতুননগর এলাকার শফিকের সেমিপাকা টিনশেড বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকেন। রাত ৮টার দিকে তিনি বাইরে থেকে বাসায় যাচ্ছিলেন। বাসার কাছাকাছি এলে বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। তখন দৌড়ে বাসায় গিয়ে দেখেন, তাদের ঘরসহ পাশের কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং তীব্র ধোঁয়া বের হচ্ছে। পরে অন্য ভাড়াটিয়াদের সাহায্যে কয়েকটি ঘর থেকে ওই ছয়জনকে বের করে আনা হয় এবং স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাদের রাতেই বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।
মোতালেব আরও জানান, সেমিপাকা টিনশেড ঘরগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্নার কাজ করেন সবাই। ধারণা করা হচ্ছে, রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।