ঢাকার আশুলিয়ায় দাড়ি কামাতে ১০ মিনিট দেরি হবে বলায় নরসুন্দর ও তার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চালাপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সংখ্যালঘু নরসুন্দরের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার ও প্রধান অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা শহীদ ওরফে ডনকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
আহত সেলুন মালিক নরসুন্দর বাবুল চন্দ্র শীলের শাশুড়ি সোনামতি শীল বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই। আমার মেয়ের জামাই ও নাতিকে যারা অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এর আগে, গত ৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেঙ্গুরী এলাকায় এতিম মার্কেটের বাদল হেয়ার কাটিং সেলুনে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার।
মামলায় আসামিরা হলেন- আশুলিয়ার টেঙ্গুরী কোনাপাড়া এলাকার মৃত জিয়র আলী মন্ডলের ছেলে মো. শহিদ ওরফে ডন (৫২)। তিনি স্থানীয় শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বাকিরা একই এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফ (৩৫), জয়নাল আবেদীনের ছেলে হিমেল (৩২) ও অজ্ঞাত ২-৩ জন।
আহতরা হলেন- সেলুন মালিক নরসুন্দর বাবুল চন্দ্র শীল (৪০) ও তাঁর ছেলে বাদল চন্দ্র শীল (১৯)। বাবার সেলুনের পাশেই মুদি দোকানদারি করেন ছেলে বাদল।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সেলুনের মালিক বাবুল অন্য একজনের চুল কাটছিলেন। এ সময় তাঁর চুল কাটা শেষ না করেই শহীদ তাঁর নিজের দাঁড়ি কামাতে (সেভ) বলেন। বাবুল ১০ মিনিট দেরি হবে বললে শহীদ চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি জুতা দিয়ে গালে মারতে থাকেন। বাবুলের ছেলে বাদল বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে শহীদ ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকেও কাঠ দিয়ে মারধর করেন। একপর্যায়ে বাদলের চা দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ক্যাশবক্স থেকে ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বাদলকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে।