ঢাকার আশুলিয়ায় শিমু আক্তার (২২) নামের এক নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১০ টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ার মামুনের ৫ তলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিমু আক্তার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার মোগন্দপুর গ্রামের নয়া মিয়া ব্যাপারীর মেয়ে। তার স্বামী ফারুক হোসেন একই জেলার বাসিন্দা। তারা স্বামী স্ত্রী দুজনেই কাঠগড়া এলাকার ডেকো লিগেসি গ্রুপের আগামী এ্যাপারেলস লিমিটেড পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাদের আড়াই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একই বাসাতে নিহত শিমু, তার আরও ২ বোন ও খালা-খালু বসবাস করতো। সোমবার রাত ১২ টার দিকে স্বামী ফারুককে নিয়ে ঘরে চলে যান তিনি। পরদিন সকালে এক বোন তাকে অফিসে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসে দেখে ঘরের ছিটকিনি বাইরে থেকে আটকানো। ঘরে ঢুকতেই রক্তের চিহ্ন। পরে রুমে কাউকে না পেয়ে বাথরুমে গিয়ে শিমুর মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ বাথরুমে লুকিয়ে রাখে স্বামী ফারুক হোসেন। এ ঘটনার পর থেকে আড়াই বছর বয়সের একমাত্র ছেলে সন্তান নিয়ে পলাতক রয়েছেন স্বামী।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করবে। পলাতক স্বামীকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। বাকি তথ্য তদন্ত স্বাপেক্ষে বলা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে বটি দা বা ধারালো কিছু দিয়ে নারীকে হত্যা করা হয়েছে।