এক থেকে দুই মিনিটের মধ্যে একটি মোটরসাইকেল চুরি করতেন তারা। এরপর দ্রুত মোটরসাইকেলটিকে গ্যারেজে এনে ইঞ্জিন ও চেচিস নম্বর পরিবর্তন করে সেটিতে রং করতেন। পরে ক্রেতার কাছে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ বলে বিক্রি করতেন মোটরসাইকেটি। শুধু তাই নয়, কখনো কখনো মোটরসাইকেলের যন্ত্রাংশও আলাদা করে বিক্রি করতেন মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যরা। এ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে পুলিশের কাছে।
একটি মোটরসাইকেল চুরির সূত্র ধরে এই চোর চক্রের দুইজনকে সাতটি মোটরসাইকেলসহ গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রটির আরও দুই সদস্য পালিয়ে যান। গ্রেপ্তাররা হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কুলাসার গ্রামের মো. সাদ্দাম হোসেন (৩২) ও বিষ্ণপুর গ্রামের মো. ফরহাদ হোসাইন (২৬)। পলাতকরা হলেন, বিষ্ণপুর গ্রামের সোহেল (৩০) ও ঝিকড্ডা গ্রামের শাহ আলম (৩২)। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসব তথ্য জানান সাংবাদিকদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ডিবি) নাজমুল হাসান, চৌদ্দগ্রাম সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ও ওসি ত্রিনাথ সাহা তন্ময়। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ৯ অক্টোবর চৌদ্দগ্রাম থানায় মোটরসাইকেল চুরির একটি অভিযোগ পেয়ে ফেনী জেলার সীমান্তবর্তী লাটিমি রাস্তার মাথা থেকে সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যে গত ১০ সেপ্টেম্বর রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঝিকড্ডা গ্রামের শাহ আলমের গ্যারেজে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহ আলম ও সোহেল পালিয়ে যান। সাদ্দাম ও ফরহাদকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়। গ্রেপ্তার ও পলাতক আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে একটি গ্যারেজে রাখতেন। সেখান থেকে ইঞ্জন ও চেচিস নম্বর পরিবর্তন করে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করতো।