সকাল সাড়ে ১০ টায় মহাঅষ্টমী স্নান অনুষ্ঠান স্হলে উপস্হিত হন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ও পুলিশ সুপার মহাম্মদ আব্দুর রাকিব পিপিএম।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ভক্তদের উদ্দেশ্যে বলেন,সব সময় ভুল করে থাকি, অন্যায় করে থাকি, আমরা ধর্ম কর্ম সঠিক ভাবে পালন করিনা। ধর্মের যে রীতি নীতি আমরা যদি সঠিক ভাবে পালন না করি রাস্ট্রের যে দায়িত্ব কর্তব্য সেটা ও যদি সঠিক ভাবে পালন না করেন সেটাও এক ধরনের পাপ। আপনি গঙ্গা স্নানে নামছেন মনে মনে ভাবছেন আমি অনেক ভুল ক্রুটি করেছি সামনে আর করবো না। এ স্নানের মুল হলো আপনার উপলব্ধি সৃষ্টি করা আমরা পাপ করেছি, সামনে আর এ ধরনের পাপ করতে চাই না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশ সুপার মহাম্মদ আব্দুর রাকিব পিপিএম বলেন, আমি এই প্রথম অষ্টম স্থানে এসেছি। কখনোই এভাবে আমার দেখা হয়নি। শুনেছি নারায়গঞ্জের নাঙ্গলবন্দের পরে চাঁদপুরের এটি দ্বিতীয় স্থান। এটি দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনারা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে অংশগ্রহণ করছেন। আমরা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, এবং ফায়ার সার্ভিস দায়িত্ব পালন করছে। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে প্রত্যেক ধর্মীয় বিষয়ে আমাদের সবার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা জানি এখান যাত্রা হচ্ছে পাপমোচনের বিষয়। আমাদের এটা মনে রাখতে হবে আমাদের মনের মধ্যে যত পাপ আছে তা যেন মহাঅষ্টমী স্নানের মাধ্যমে সাবার মন থেকে দূর হয়ে যায়।
সকাল থেকে বিকাল ৩ ঘটিকা পর্যন্ত মহাঅষ্টমী স্নান চলে । আগত ভক্ত ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ, চাঁদপুর নৌ থানা পুলিশ, কোস্ট গার্ড সদস্যরা ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে । নৌ পুলিশ ও নদী ফায়ার স্টেশন সদস্যরা সকাল থেকেই মহাঅষ্টমী স্নান ঘাট এলাকায় ও নদীপথে নিয়মিত টহল ও নজরদারি চালায়। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক
লিটন সাহা, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিণয় ভূষণ মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধা অজিত সাহা, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাত্তিক সরকারসহ হাজারো ভক্তবৃন্দ।
সকাল থেকেই বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিতগণ অষ্টমীশনে অংশগ্রহণ করা সনাতন ধর্মের ভক্তদের মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে পাপমোচনের নিমিত্বে মন্ত্র পাঠ করান।