১০ মার্চ সোমবার সকাল ১০ টায় চাঁদপুর নার্সিং ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা প্রথমে চাঁদপুর প্রেসক্লাব সম্মুখে এসে মানববন্ধনে মিলি হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের অঙ্গিকার সম্মুখে গিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ মিলিত হয়।

এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্ষকদের শাস্তি প্রকাশ্যে হয়ে থাকে। কিন্তু আমার দেশে কেন ধর্ষকদের শাস্তি হয় না। ধর্ষকদের বিচারের আইন শুধু সংবিধানে ও কাগজে-কলমে রয়েছে। সেই আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। কেন আমাদের দেশে আইনের সঠিক প্রয়োগ নেই। এর ফলে আমাদের মা, বোন ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হয়। আইনের সঠিক প্রয়োগ হলে মায়েরা, বোনেরা ও শিশুরা নির্যাতনের শিকার হবে না। আমাদের কণ্যা সন্তানরা মায়ের কাছে সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। আমরা এমন এক বাংলাদেশ চাই, যেই দেশে আমি নিরাপদে থাকবো, মায়েরা নিরাপদে থাকবে। আজকে আমরা আছিয়া ধর্ষনের প্রতিবাদে রাজপথে নেমেছি। প্রাশ্চাত্যের যুগে বসবাস করে কেন আমরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা স্বীকার হবো। বাংলাদেশে আমরা একান্ন শতাংশ নারী হয়েও কেন নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। শিশু আছিয়া আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে আছে। আমরা চাই শিশু আছিয়া সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। একই সাথে ধর্ষকদের ফাঁসি যেন শিশু আছিয়া শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের পূর্বে দেখতে পায়। আমরা কেন বাংলাদেশে বসবাস করে, বৈষম্যের আন্দোলন করে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা নারীরা কোনো নিরাপত্তা পাচ্ছিনা। আমরা চাই সরকারের কাছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো যেন ধর্ষকদের বিচার প্রকাশ্যে হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, নার্সিং ইন্সটাক্টর শাহানারা আক্তার, শারমিন সুলতানা,রুহুল বাশার, নাজমুর নাহার, লাইলি আক্তার, সালমা আক্তারসহ নার্সিং শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বায়েজিদ শিকদার, ওয়াহেদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, জাজবি, জামাল হোসেন, আল আমিন, আশিক, আফরোজা বেগম, আয়শা আক্তারসহ নার্সিং ইনস্টিটিউটের সকল শিক্ষার্থীরা।