২৯ অক্টোবর রোববার সকালে শহরের বাসস্ট্যান্ড গিয়ে দেখা গেছে বাস চলাচল বন্ধ থাকলে ও লঞ্চঘাট ও রেল চলাচল স্বাভাবিক ছিল। শহরের সড়কগুলো রিক্সা , অটোরিক্সা ও অন্যান্য ছোট যানবাহন চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো খোলা এবং শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে তাদের নিজ নিজ বিদ্যালয়ে গিয়েছে ।সকাল থেকে চাঁদপুর শহরের রাজপথ নিজেদের দখলে রেখেছিল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতা কর্মীরা। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটোয়ারী, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী, মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল, মোহাম্মদ আলী মাঝি,প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যডঃ হেলাল হোসাইন, সাধারন সম্পাদক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল, ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা শহরের কালিবাড়ি মোড়, শিক্ষা মন্ত্রীর বাসভবন এলাকা, নতুন বাজার মোড়, চিত্রলেখা মোড়,চাঁদপুর সরকারি কলেজ এলাকা, বাস স্ট্যান্ড, ষোলঘর, ওয়ারল্যাস, বাবুরহাটসহ সবত্র আওয়ামী লীগ দখল করে রাখে।
কিন্তু সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা বিএনপির কোনো নেতাকেই রাজপথে দেখা যায়নি। সকাল সাড়ে ৭ টায় জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ সেলিমুল্যাহ সেলিমের নেতৃত্ব কয়েকজন নেতা কর্মী হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসে থাকতে দেখা যায়। ঘন্টাখানেক পর থেকে তাদের আর মাঠে খুজে পাওয়া যায়নি।
লঞ্চঘাটে থাকা লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি শাহ আলম চোকদার জানান, চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী সিডিউল অনুযায়ী ভোর থেকেই লঞ্চগুলো ছেড়ে যাচ্ছে। তবে যাত্রী সংখ্যা কম। সকাল ৮টায় ঘাটে অবস্থান করছিল এমভি ঈগল-৯ ও এমভি সোনারতরী-২ ও ৫।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় জানান, ভোর থেকেই পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তায় পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় ছিল। আমরা কোন ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম হতে দিব না।