মানিক দাস // এসো মিলি মুক্তির মোহনায় এ শ্লোগানে আগামী ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্তদিবসে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় বারের মতো মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা গৌরবের ৩১ বছর পূর্তি। বিজয় মেলার সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও বিজয় মেলার মেলার চেয়ারম্যান অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরনের সঞ্চালন ২০২১ সালের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আয় ব্যায় উপস্থাপন করা হয়। সভার শুরু থেকেই জাতির পিতার স্ব পরিবার ও শহিদ এবং মৃত মুক্তিযুদ্ধাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে নিরবতা পালন করা হয়।এ বিজয় মেলাকে সার্বজনীন করতে হবে। যেই লক্ষে আমাদের বিজয় মেলা সেই লক্ষ ধরে রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা তার গতিতে চলবে।
স্টিংয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ২০২১ সালের বিজয় মেলার সময় আমি অসুসাহ্য থাকার কারনে আমি অধিক পরিসরে করতে পারিনি। মেলা আমরা করবো এমন স্বিদ্ধান্ত নিয়েই স্হানীয় সংসদের অনুমতি নিয়েই সে বছর বিজয় মেলা করেছি। বিজয় মেলা উদযাপন করার লক্ষ হলো মুক্ত দিবস পালন করা। ১৯৯২ সালে যুব ইউনিয়নের কাছ থেকে চিঠি আসে বিজয় মেলা করারনজন্য । তখন আমরা বিজয় মেলা শুরু করি। যারা জয় বাংলা শ্লোগানের বিরোধীতা করেছিল তাদের চ্যালেঞ্জ করেই আমরা বিজয় মেলা শুরু করি। আমরা স্মরণ করি বিএনপির নেতাদের।কারণ বিজয় মেলা শুরু হয়েছিল বিএনটি রাস্ট্র ক্ষমতায় থাকা কালে। তারা সব সময় আমাতের সহযোগিতা করে ছিল। বিজয় মেলা সম্পর্কে চাঁদপুর বাসীর জানার অধিকার আছে। কেনা বিজয় মেলা হলো সার্বজনীন। এ দেশ আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছি। মুক্তিযুদ্ধের সকল দায়দায়িত্ব নেবে মুক্তিযুদ্ধার সন্তানেরা। মুক্তিযুদ্ধার সন্তানেরা কমান্ড কাউন্সিল কে দায়িত্ব নিতে হবে। ১৯৯২ সালে ঢাকায় কনভেসন করা হয় তখন সেখান থেকে চিঠি দেয়া হয়। সেই চিঠি পেয়ে আমরা বিজয় মেলা শুরু। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা স্বচ্চতা ও জবাবদিহিতার মাঝে চলবে। আমরা সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধাদের এনে এবছর স্মৃতিচারন করা হবে।আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় এ পর্যন্ত অনেক সাহিত্যিক, সাংবাদিক, মুক্তিযুদ্ধারা এসে স্মৃতিচার করে গেছেন।
দুলাল পাটোয়ারী বলেন, একজন ব্যাক্তি কেন একাধিক কমিটিতে থাকবে কেন। আপনারা আমদের কে কেন দ্বধাবিক্ত কেন করবেন। এটা মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এখানে কেন দ্বিধা কেন। আমরা স্বাধীনতার পক্ষের আমরা চাই মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা হবে হোক। বিজয় মেলা শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে হিসাব নিকাশ উপস্থাপন করতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার শুরুতে যারা ছিল তাদের কে মুল্যায়ন করবেন। তাদের মূল্যায়ন করে উপ কমিটি গুলো দিবেন। এ বছর আমরা রেজিঃস্ট্রার খাতা থাকবে।
সভায় সকলের সম্মতি ক্রমে ২০২১ সালের উদযা্পন কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। পরবর্তিতে যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদ প্রধান অতিথি থেকে বক্তব্য রাখেন।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন,আবু নঈম দুলাল পাটোয়ারী , জাফর ইকবাল মুন্না, শাহাদাত হোসেন শান্ত, সোহেল রুশদী, শাওন পাটোয়ারী, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী,তৌহিদুল ইসলাম চপল, শহিদ পাটোয়ারী, শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌস মুর্শেদ জুয়েল, অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম,রহিম বাদশা, মিজান লিটন,গিয়াস উদ্দিন মিলন, হারুন আল রশিদ,
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয় মেলার উপদেষ্টা, স্টিয়ারিং কমিটির কর্মকর্তা, উদযাপন পরিষদের সদস্য,বিজয় মেলার ভাইস চেয়ারম্যান, যুগ্ম মহাসচিব, বিভিন্ন পরিষদের কর্মকর্তা, অংশ নেওয়া সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠনের কর্মকর্তা এবং মেলায় অভ্যর্থনার দ্বায়িত্বে যে সকল সাংস্কৃতিক কর্মীরা সেচ্ছাসেবী হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেন তারা সকলেই উপস্থিত ছিলেন।