নিজস্ব প্রতিবেদক
চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেটের সম্মুখে ফুটপাত হকারদের দখলে। এত করে মার্কেটের ক্রেতা ও সাধারন পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। হকারদের কারণে হকার্স মার্কেটের সম্মুখের সুন্দয্যও ম্লান হচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন, পৌরসভা ও মার্কেট কতৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে এমনটাই প্রত্যাশা করে ভুক্তভুগি ক্রেতা ও জনসাধারণ পচরারীরা।
জানা যায়, চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেটটি শহরের সবচেয়ে বড় মার্কেট। মার্কেটটি চাঁদপুর হকার্স সমাজ কল্যাণ সমিতির অন্তর্ভুক্ত। ১৯৭২ সালে এ মার্কেট প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৮১ সালে গভমেন্ট রেজিস্ট্রেশন অন্তর্ভুক্ত হয়। যার রেজিস্ট্রেশন নং ৬৯৬। চাঁদপুর রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে পশ্চিমাংশ থেকে পূর্বাংশ পর্যন্ত ৪ শতাধিকেরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পশ্চিমাংস মার্কেটের সম্মুখভাগ। বড় আকারের কড়ই গাছটি জোরে এখানে অনেকগুলো ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। এতে মার্কেটের সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এসব ভ্রাম্যমান দোকানীদের কারণে জনসাধারণ ও ক্রেতা সাধারণ হাঁটা চলাফেরা করতে অসুবিধা হচ্ছে। সামনের অংশের মর্ডান সুজ, নিউ ঢাকা স্টোর, নবরূপা কালেকশন, সিয়াম সুজ, অহনা সুজ, রহমান সুজসহ যেসব ব্যবসায়ীরা রয়েছে তারা লাখ লাখ টাকা ব্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দিলেও এসব হকারদের কারণে তারা চরমভাবে ব্যবসায়িক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রেলেওয়ে হকার্স মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের প্রবাসী সিরাজ মিয়া বলেন, কালিবাড়ি মোড় থেকে রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে প্রবেশ করতে গিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। মার্কেটের সামনের যেসব হকার রয়েছে তারা তাদের নিজেদের ইচ্ছামত দোকান সাজিয়েছে। মানুষের চলাচলের রাস্ত নেই বললেই চলে। এখান দিয়ে মার্কেটে প্রবেশ করতে গেলে তারা আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করে।
শাহমাহাম্মদপুর ইউনিয়নের মহামায়া এলাকার কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, রেলওয়ে হকার্স মার্কেটে প্রবেশ করতে গেলে শপথ চত্বর থেকে মার্কেটে প্রধান গেটে যাওয়া যায় না। সামনের অংশে যেইসব হকার বসে রয়েছে তারা ক্রেতা ও সাধারন জনগণের সাথে প্রায় সময় খারাপ আচরণ করে। এদের এ ধরনের আচরণ থেকে আমরা রক্ষা পেতে চাই। তাই পৌর প্রশাসন ও মার্কেট কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন এমনটি আমরা প্রত্যাশা করি।