শ্রীশ্রী ত্রিনাথ ঠাকুরের মেলার কার্যক্রম চলে। অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন
চাঁদপুর মহা শ্মশান মন্দির ও হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক।
তিনি বলেন, সাধুচরণ পোদ্দার এ ভূমি দান করেছেন। সেখানেই এ শ্মশান প্রতিষ্ঠা করেন নগেন্দ্র চনাদ দে ( নগাদা) হরিবোলা সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।” ক্লান্ত পথিক ফিরে এসো ” একদিন আমাদের সবাইকে এখানে আসতে হবে। এটাই আমাদের সনাতনীদের শেষ ঠিকানা। এক সময় চাঁদপুর মহা শ্মশান মন্দির ও হরিবোলা সমিতির উদ্যোগে বাৎসরিক শ্রীশ্রী ত্রিনাথ ঠাকুরের মেলা শ্রী শ্রী কালিবাড়ি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হতো। আমি হরিবোলা সমিতির দায়িত্ব নেয়ার পর সনাতনীদের শ্মশান মুখি করতে চাঁদপুর মহা শ্মশান মন্দির ও হরিবোলা সমিতির উদ্যোগে বাৎসরিক শ্রীশ্রী ত্রিনাথ ঠাকুরের মেলাটি এখানে করার উদ্যোগ নেই। তখন এখানে এ মন্দির ছিলনা। বর্তমানে যেখানে দাহ করা হয় সেখানে মঞ্চ করে তা শুরু করি। মহা শ্মশানের প্রাণ পুরুষ নগাদা এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি সংসার জীবন করেননি। সামাজি কাজ নিয়েই জীবন কাটয়ে দিয়েছেন। তিনি ডব্লিউর রহমান জুট মিলে “শাহজাহান ” নাটক করতে গিয়ে মঞ্চে অভিনয় করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন। তিনি শুধু সব দাহ নিয়েই থাকতেন না, কে অসুস্হ, কার কি হয়েছে তার সাহায্যে ছুটে যেতেন। তারই উত্তরসূরী কালিপদ চন্দ শ্মশানের হাল ধরেন। আমি তখন শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক। অফিসে কাজ করছিলাম। কালিদা সেখানে এসে বলেন অজয় তুই সময় করে শ্মশানে আসতে হবে। এর হাল তোকে ধরতে হবে।তখন আমি তাকে বলেছি দাদা আমি শিল্প সংস্কৃতি আর রাজনীতি করি। আমাকে দিয়ে কি এসব কাজ হবে।তুি পারবি শ্মশানের উন্নয়ন করতে। তার পর হরিবোলা সমিতির হাল ধরি। ভক্তদের অর্থায়নে আজ শ্মশানে এ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সকল ভক্তের সহযোগিতায় শ্মশানের উন্নয়ন কাজ চলছে। এখন বড় কর্মযজ্ঞ চলছে শ্মশানের পুকুরের পার বাঁধাই। একাজ ও করা হচ্ছে ভক্তদের সহযোগিতায়। মহা শ্মশান যেহেতু সনাতনিদের শেষ ঠিকানা সেহেতু আপনারা সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে দিবেন এর উন্নয়নের জন্য।
শ্রীশ্রী ত্রিনাথ ঠাকুরের মেলা শেষে মনোঙ্গ ধর্মীয় সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মাস্টার
খোকন দাসের পরিচালনায় ও জয় রাম রায়ের সঞ্চালন ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন মাস্টার খোকন দাস,প্রদীপ চক্রবর্তী, নিপা চন্দ, অসীম দাস, প্রসান্ত সরকার সঞ্জয়, বিরেন সাহা, স্বজন সাহা জীবন দাস,নিমাই বিশ্বাস। তাছাড়া সূর্য ঘোষের পরিচালনায় পুরান বাজার লোকনাথ শিব সংঘের শিল্পীরা ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। যন্ত্র সঙ্গীতে ছিলেন মাস্টার খোকন দাস (কি বোড),সুবাস দাস কালু(তবল),অভি দাস ( ড্রাম) ও টিটু মল্লিক ( বাঁশি)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, প্রবীর পোদ্দার, রতন মিত্র, অমল রক্ষিত মনা, সংগ্রাম চন্দ, অজয় মজুমদার, গৌতম বর্ধন, লিটন দাস সহ ভক্ত গণ।