আলমাস হোসেন : ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
আশুলিয়ার শিমুলিয়া বাজারে ফিরোজ কবীর সুপার মার্কেটে একটি মিষ্টির দোকান’ গোপাল ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার’। এই দোকানের রসগোল্লা মালাইচপ,রসমালাই সানার পোলাও,বালুশাহ,লেংচা জিলাপী সন্দেশ সহ বেশ নামডাক। স্বাদে-মানে আশুলিয়ার মানুষের কাছে প্রিয় ‘গোপাল ঘোষের রসগোল্লা’। শুধু আশুলিয়ায় নয়,জেলা ও জেলার বাইরেও,
গোপাল ঘোষের মিষ্টান্ন ভান্ডারের স্বত্বাধিকারী গোপাল চন্দ্র ঘোষের বাবা প্রায় ৩০ বছর ধরে মিষ্টির ব্যাবসা করেছে বর্তমানে দোকানটি চালাচ্ছেন। ৪৩ বছর বয়সী তার ছেলে গোপাল চন্দ্র ঘোষ, এই মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, তরুণ বয়সে ছানার ব্যাবসা করেছেন। পরে নিজেই মিষ্টির দোকান দিয়েছেন। মিষ্টি নিয়েই কেটে যাচ্ছে জীবনের একটি অংশ। তাঁর ছেলেরা পড়াশোনা শেষে ব্যাবসা পরিচালনায় তাঁকে সহযোগিতা করছেন।
পানতোয়া ও রসগোল্লা বানানো বিষয়ে এই দোকানের কারিগর শ্যামল পাল বলেন, গরুর খাটি দুধ, ময়দা ও চিনি দিয়ে তৈরি হয় মোলায়েম পানতোয়া ও রসগোল্লা। প্রথমে দুধ জ্বাল দিতে হয়। ফুটে উঠলে তাতে লেবুর রস দিয়ে ছানা তৈরি করতে হয়। ছাকনির ওপর কাপড় রেখে ছানা ঢেলে নিতে হয়। সঙ্গে সঙ্গে ছানার ওপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে আধা ঘণ্টার মতো কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রাখতে হয়। এরপর ছানা, এলাচিগুঁড়া ও চিনি একটি থালায় নিয়ে হাতের তালুর সাহায্যে ১০ মিনিট মেখে মসৃণ মণ্ড তৈরি করতে হয়। ছানার মণ্ড অল্প নিয়ে ছোট বল বানিয়ে রসগোল্লার আকারে তৈরি করে নিতে হবে। আলাদা পাত্রে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিয়ে রস তৈরি করতে হবে। রস ফুটে উঠলে ছানার বলগুলো দিতে হয়। বলগুলো ফুলে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ঠান্ডা করতে হবে। এভাবে তৈরি হয় পানতোয়া ও রসগোল্লা। একেকটি রসগোল্লার ও পানতোয়ার ওজন ৭০ থেকে ৮০ গ্রাম হয়ে থাকে। এক কেজিতে ১২ থেকে ১৩টি রসগোল্লা ধরে। এক কেজি রসগোল্লা বিক্রি হয় ৩৫০, পানতোয়া ৪০০ টাকায়।
স্থানীয় সাংবাদিক জাকির হোসেন দৈনিক স্বাধীন সংবাদ কে বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে তৈরি হচ্ছে গোপালের পানতোয়া রসগোল্লা ও মালাইচপ জেলার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি হয়ে গেছে। এই মিষ্টির স্বাদ ও মান অনন্য হওয়ায় চাহিদা একটু বেশি। এখানকার মানুষ এলাকার বাইরে বেড়াতে গেলে এই মিষ্টি নিয়ে যান। এতে আত্মীয়স্বজনও বেশ খুশি হন।
‘ গোপাল ঘোষের মিষ্টান্ন ভান্ডার’ পরিচালনায় বাবাকে সহযোগিতা করেন কলেজ পড়োয়া ছেলে সুব্রত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু লাভের দিকে তাকাই না মিষ্টির মান এগিয়ে রাখতে চাই। বাবা সব সময় শিক্ষা দিয়েছেন, সততার সঙ্গে ব্যবসা করার। এখন মিষ্টির উপকরণের দাম অনেক বেড়েছে। তারপরও আমরা দাম বাড়াইনি। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রেখেই ব্যবসা করছি।’
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, গোপালের পানতোয়া,রসগোল্লা, রসমালাই ছাড়াও এখানে উন্নতমানের দধি,চমচম,রসমালাই,মালাইচপ,ছানার পোলাও,ছানা,বালুশাহ,লেংচা,জিলা