মানিক দাস // বৈশ্বিক মহামারী করনার রেশ এখনো কাটেনি। দীর্ঘ দুই বছর করোনার কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। সরকারও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে করোনার পরিস্থিতি কিছুটা কমে আসায় প্রাথমিক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে।
চাঁদপুর শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখন প্রতিনিয়ত অ্যাসেম্বলি করতে দেখা যাচ্ছে। ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশে করোনার প্রাদুরভাব বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে সরকার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। সেই থেকে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ টানা ২ বছর বন্ধ হয়ে যায়। সরকার শিক্ষার্থীদের কে অটো প্রমোশন দিয়ে পরের ক্লাসে উন্নত করে। বর্তমানে বাংলাদেশে করোনার প্রভাব কমে যাওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত মতে চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রথমে আংশিক ভাবে খুলে দেয় । স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত ১৫ মার্চ থেকে পূর্ণাঙ্গ ক্লাস শুরু হয়েছে। বিদ্যালয়ের সকল ক্লাশ চলার কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে যেন প্রাণের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে।
চাঁদপুর শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে প্রতিদিন সকাল ১০ টায় ক্লাশ শুরুর পূর্বমুহূত্বে শ্রেণী অনুযায়ী ও সারিবদ্ধ ভাবে মাঠে দাঁড়িয়ে আগের মতো অ্যাসেম্বলি করার কারণে বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকদের যেন মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে। চাঁদপুর শহরের শতবর্ষি বিদ্যাপীঠ গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধা আব্বাস উদ্দীন বলেন, ২০২০ সালের ১৬ মার্চ সরকার করোণার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে। দীর্ঘ ২ বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর করোণা পরিস্হিতি কমে আসায় সরকার চলতি বছরের ১৫ মার্চ সাকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় খুলে দেয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণ ফিরে এসেছে।তারা প্রতিনিয়ত নিয়মিত ক্লাশে আসে। যথারীতি তারা অ্যাসেম্বলিতে অংশ নিয়ে বিদ্যালয়ের সুন্দর্য বৃদ্ধি করে তুলেছে।
চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাতৃপীঠ সরকারি বালরিকা উচ্চ বিদ্যালয়,লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,আল আমিন স্কুল এন্ড কলেজ, মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয়,পুরান বাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়মিত অ্যাসেম্বলির মাধ্যমে যেন প্রান ফিরে এসেছে।