আতাউর শাহ্, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁয় স্বাধীনতার মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও বিশেষ প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম (৬ষ্ঠ পর্যায়) হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট নওগাঁ জেলা কার্যালয় এই সভার আয়োজন করে। সভার শুরুতেই দেশের সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় দাঁড়িয়ে ১মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সভায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সন্মানিত ট্রাস্টি বাবু তপন কুমার সেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নওগাঁ মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের সহকারী প্রকল্প পরিচালক সাথী মজুমদার।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস.এম. জাকির হোসেন, নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ নওগাঁ শাখার আহবায়ক বাবু পীযুষ কুমার সরকার।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে যে সেনা সদস্যরা এই দেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছিলো তাদেরই কিছু বিপদগামী সেনা সদস্যরা বিদেশী ষড়যন্ত্রের সঙ্গে লিপ্ত হয়ে এই জাতিকে পিতাহারা করে সাগরে ভাসিয়ে দিতেই ১৫আগস্টে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকলকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। পরবর্তি সময়ে বিদেশে অবস্থান করায় বঙ্গবন্ধুর বেঁচে যাওয়া দুই সন্তান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনাকেও দীর্ঘদিন যাবত দেশের মাটিতে আসতে দেয়নি স্বাধীনতা বিরোধী একটি মহল। কিন্তু একসময় জনগণের গড়ে তোলা কঠোর আন্দোলনের মুখে সত্য ও ন্যায়ের বিচারক মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় দেশে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া দলের হাল ধরেন। এরপর ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া স্বপ্নের বাংলা গড়ার কাজে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন মানবিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ইতিহাসের এই সঠিক তথ্যগুলো নিজেরা জেনে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে শিক্ষকদের প্রতি জেলা প্রশাসক আহ্বান জানান।
সভায় জেলার ১১টি উপজেলার সকল মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কেন্দ্রের সকল শিক্ষকসহ অন্যরা অংশগ্রহণ করেন। সভা শেষে সবার অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধুসহ দেশের সকল শহীদের আত্মার শান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।