নিজস্ব প্রতিকেদক
বিগত দুই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও তাদের শঙ্কা ছিল ভোটার উপস্থিতি নিয়ে। তবে ভোটের দিন ইসির দুশ্চিন্তায় জল ঢেলে স্বস্তির বাতাস বইয়েছেন দেশের ভোটাররা। ইসি জানিয়েছে, সারাদেশে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অনুপস্থিতিতে ভোটার বৃদ্ধির লক্ষে রোববারের (৭ জানুয়ারি) সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের নেতাদের মাঠে নামানোর কৌশল ফল দিয়েছে। স্বতন্ত্রদের প্রচার প্রচারণা, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অংশগ্রহণ ও জয়ের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টায় কেন্দ্রে ভোটার আনতে সফল হয়েছে। আর তাতেই সরকার ও ইসি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।
তবে কেন্দ্রে এই ভোটার উপস্থিতি প্রধানত দুটি দিক দিয়ে আওয়ামী লীগের ঘরে সুফল পৌঁছে দিয়েছে। এক, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ বন্ধ হয়েছে। ২, কেন্দ্রে এমন ভোটার উপস্থিতি রাজনৈতিক মাঠে আগামীতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যেকোনো নির্বাচনে অংশগ্রহন বিষয়ে বিএনপিকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি ফেলে দিবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, গতকাল বিকাল ৩টা পর্যন্ত সারা দেশে ভোট পড়েছিল মাত্র ২৬.৩৭ শতাংশ। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা লড়ছেন, এমন ২৬টি আসনের ভোটের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দুপুর ২টা পর্যন্ত ওই সব আসনে ভোট পড়েছে গড়ে ৩৪ শতাংশের বেশি।
নির্বাচন কমিশনের স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ অনুসারে, বেশ কয়েকটি আসনে দুপুর ২টার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। অন্তত একটি কেন্দ্রে ৫৩ শতাংশ ভোট দেওয়ার হার রেকর্ড করা হয়েছে।
ভোটগ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের কাছে প্রাথমিক ভোটের হিসাব তুলে ধরেন। তিনি প্রথমে বলেছিলেন, ভোট পড়েছে ২৮ শতাংশ। পরে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম সিইসির কথা সংশোধন করে দেন। তখন সিইসি বলেন, ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮০.২ শতাংশ, ২০১৪ সালে ৪০ শতাংশ এবং ২০০৮ সালে ৮৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।