মানিক দাস // মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ আহরণরত অবস্থায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত এক সপ্তাহে পদ্মা মেঘনা নদীতে দিবা রাত্রি অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ৬৪ জন জেলেকে আটক করে। এর মধ্যে ১৩ জন জেলেকে মোবাইল কোটের মাধ্যে সাজিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী ৫১ জন জেলের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক জেরেদের কে মুচলেকার মাধ্যমে তাদের কে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে ।
চাঁদপুর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান জানান, সরকার ঘোষিত মা ইলিশের প্রজনন রক্ষায় চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মিপুরের চর আলেকজেন্ডার পর্যন্ত নদীর ৬০ কিলো মিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম। আশ্বিনের ভরা পূর্নিমা থেকে এ ২২ দিনের মধ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক ইলিশ ডিম ছারার সময়। এসময়ে নদীতে সকল প্রকার জেল ফেলে মাছ আহরন নিষিদ্ধ। তাই আমরা নৌ পুলিশ নদীতে সার্বক্ষনিক দৃষ্টি রাখছি।গত ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত সাত দিনে অভিযান পরিচালনা করে ১০ টি মামলায় মোট ৬৪ জন জেলেকে আটক করেছি। তার মধ্যে ১৩ জন কে মোবাইল কোটের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী ৫১ জন জেলেকে মৎস্য সংরক্ষন আইনে মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৫২ লাখ ৩ হাজার ৯শ মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ২২ হাজার ১ শ মিটার সূতা জাল, ৮২ কেজি মা ইলিশ,২৩ ক্যান বরফ,১৩ টি মাছ ধরার নৌকা।
গত ১১ অক্টোবর ১০ জন জেলে,১২ অক্টোবর ২২ জন জেলে ও ১৩ অক্টোবর ১৯ জন জেলে কে আটক করা হয়। এর আগে নৌ পুলিশ আরো ১৩ জনকে আটক করলে তাদের মোবাইল কোটে সাজা দেয়া হয়।