আবুলকালামআজাদ, কুমিল্লাপ্রতিনিধিঃসম্প্রতিমুরাদনগর দৌলতপুরগ্রামেরশশুরবাড়ী থেকে নিখোঁজহনগৃহবধু। বাঙ্গরা বাজার থানায়সাধারণডায়েরী(জিডি)করেন স্বামী।২মাস ১৬দিন পর নিখোঁজগৃহবধূ রেশমা আক্তারকেচট্টগ্রাম জেলাবাকুলিয়া থানাররাজাখালীএলাকারজামাইবাজার থেকে উদ্ধারকরেছে বাঙ্গরা বাজার থানাপুলিশ।
রেশমা আক্তারবৃদ্ধামাআমেনা বেগমবলেন,কুমিল্লা জেলামুরাদনগরউপজেলা ১০ নংযাত্রাপুরইউনিয়নের মোচাগড়াগ্রামের সেলিমমিয়া, আমেনা বেগমের মেয়ে রেশমা আক্তার শরাশরিয়তমতেপারিবারিকসিদ্ধান্তেবিয়েহয় বাঙ্গরা পূর্ব ইউনিয়নের দৌলতপুরগ্রামেররুস্তমআলী, আয়েশাখানের ছেলেনাছিরখানের সাথে। বিয়েরকয়েকবছরপারিবারিকভালোভাবেইচলছিলো। তিনমাস পূর্বে স্বামী স্ত্রী মধ্যে কথাকাটাকাটিঝগড়াকরে স্বামীরবাড়ি থেকে কোথায় যেনচলেযায়।এরমধ্যে রেশমা আক্তারসকলআত্মীয় স্বজনদেরবাড়ীতে খোজখুজিকরেও কোথাওপাওয়াযাচ্ছিলনা রেশমা আক্তারকে।আজকে সোমবারপুলিশচট্টগ্রাম থেকেআমার মেয়েকেউদ্ধারকরেআমারবাড়ীর মেম্বার কাছে ফোনকরেযানায়। আমিএখন মেম্বারের সাথে থানায় মেয়েকেনিতেএসেছি।
রেশমার স্বামী (প্রতিবন্ধী) নাছিরখানবলেন, আমিপ্রতিবন্ধী। অভাবেরসংসার। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালন্য হতেইপারে। রাতেকাটাকাটিহয়। সকালেআমিঘুম থেকে উঠে দেখিআমার স্ত্রীকেপাওয়াযাচ্ছে না।। আমার স্ত্রী আমাকেনাবলেবাবারবাড়ীর উদ্যেশে চলেযায়। আমারশশুরবাড়ী ফোনকরেজানতেপারি রেশমা আক্তার বাবারবাড়ীযায়নাই। পরেআমি স্ব শরিলে বাঙ্গরা বাজার থানায়গিয়েএকটিসাধারণডায়েরী(জিডি) করি।
রেশমা আক্তার শশুররুস্তমআলীবলেন, আমার ছেলেরবউ রেশমা আক্তার কাউকেকিছুনাবলে খুব ভোরে ঘর থেকে বেরহয়ে কোথায় যেনচলেযায়। আমিমনেকরেছি। অভাবেরসংসারআশেপাশেরবাড়ীতেহয়তোঝিয়েরকাজকরতে গেছে। আমরাজানতামনা। বাড়ী ছেড়ে কোথায়কাজেরসন্ধ্যানে গেছে। পরেআমার ছেলে থানায়জিডিকরে।
রেশমা আক্তার বলেন, স্বামী স্ত্রী মধ্যে প্রায়ঝগড়া লেগেই থাকে।আমি সেচ্ছায় স্বামীরবাড়ি থেকে বেরহয়েচলেযাই।বাবা নেই?ভাই নেই? বৃদ্ধামাআছেন। কিকরেবাবারবাড়ীযাই।তাইকাজেরউদ্দেশ্যে গতশনিবার(৮ আগস্ট) স্বামীরবাড়িদৌলতপুরগ্রাম থেকে চট্টগ্রামেরউদ্দেশ্যে রওয়ানা দেই। এরমধ্যে কুমিল্লা জেলামুরাদনগরউপজেলা কোম্পানীগঞ্জবাসটার্মিনালেআসলেআমার সাথে পরিচয়হয়মুরাদনগরউপজেলা৯নং কামাল্লাইউনিয়নেরকামারচরগ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও পুতুলনামে এক মহিলার।তাদেরকেআমার দুঃখ কস্টেও কথাজানাই। আমাকে জাহাঙ্গীর আলম ও পুতুলেকামারচরগ্রামেরবাড়ীতে১ মাসপরেতাদেরকুমিল্লাশাসনগাছাএলাকায় ১মাস ১৫দিনবাসায়ঝিয়েরকাজকরি। সেখান থেকেহাতেকিছুটাকাহয় সেইটাকাদিয়ে গত রবিবারচট্টগ্রাম জেলাবাকুলিয়া থানাররাজাখালীএলাকাজামাইবাজারকাজেরউদ্দেশ্যে চলেযাই। জামাইবাজারএলাকাথেকেবাঙ্গরা বাজার থানাপলিশআমাকেধরেনিয়েআসে।
বাঙ্গরা বাজার থানাঅফিসারইনচার্জ (ওসি) মোঃরিয়াজউদ্দিনসরকারবলেন,আমিবাকুলিয়া থানারআমিঅফিসারইনচার্জ ওসিছিলাম। সেখানেআমার র্সোসরয়েছে। সেই র্সোসেরমধ্যেমে জানতেপারি সেখানেএকটিরাস্তায় দেখা গেছে। সেই সূত্রেধরেআমি রেশমা আক্তারকে উদ্ধারকরি। রেশমা আক্তার সেচ্চায় স্বামীর ঘর থেকেপালিয়েযায়।এরমধ্যে রেশমা স্বামীপ্রতিবন্ধীনাছিরখাঁন গত ৮ আগষ্ট/২৩খ্রিঃ বাঙ্গরা বাজার থানায়একটিসাধারণডায়েরীকরে। রেশমা আক্তার কোন মোবাইলপরিচালনাকরেনা। তারজন্য রেশমা আক্তারকে খোজে পেতেপ্রায়তিনমাসসময় লেগেছে। আজ সোমবারসন্ধ্যায় স্বামী ও তারপিতামাতাভাইদের সাথে মতবিনিময়েকরেতাদেরহাতে রেশমা আক্তারকে তুলে দেওয়াহবে।