মুরাদনগর প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগরে এক বছরে অবৈধ ৫শ’ ড্রেজারে ২হাজার হেক্টর তিন ফসলি জমি বিলিন হয়ে গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৮নং চাপিতলা ইউনিয়ন পরিষদ ৫নং ওয়াডের সদস্য ফরিদ উদ্দিন ছোট ভাই ড্রেজার ব্যাসায়ী বিল্লাল হোসেন। চাপিতলা গ্রামের দক্ষিণ পশ্চিমে মুঞ্জুর আলীর বাড়ীর তুক্কা বিলে ড্রেজার বসিয়ে শত শত একর জমি ড্রেজিং করার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বিল্লাল হোসেনের ড্রেজার উত্তোলন করে নিয়ে আসলেও আবার তুক্কা বিলে বিল্লাল হোসেন ওই ড্রেজার বসিয়ে কৃষকের জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা উদ্ধিগ্ন ও আতংকিত।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট এ্যাডভোকেট ও কৃষি ও পরিবেশ ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ উজ্জল বলেন, সুপ্রীম কোর্টেও হাইকোর্টেও মাইলফলক রিপ পিটিশন মামলা ১৪১০৮/২২ দ্বারা মুরাদনগরে আবাদী জমি রক্ষায় ইউএনও এবং সহাকারী কমিশনার ভূমি প্রতি নির্দেশনা হলো উর্বও মাটি খননের প্রেজার যন্ত্রপাতি জব্দ করা, অবৈধ ব্রিক ফিল্ড বন্ধ করা, ড্রেজারে ক্ষতিগ্রস্থ আবাদীজমি ও বালুর গর্ত তদন্ত করা, সময় নির্দিষ্ট করে আবাদী জমি রক্ষায় কর্মপরিকল্পনা করা, প্রেজার ব্রিক্স ফিল্ডের মাটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ গর্ত পূর্বের আবাদী জমিতে ফেরাতে পদক্ষেপ নেয়া, এবিষয়ে রিপোর্ট মাহামান্য হাইকোর্ট আদেশ প্রাপ্তি ৬০ দিনের মধ্যে দেবার নির্দেশ হয়েছে। কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নির্দেশনা, এলাকায় পেক্টোল ডিউটি করে নদী, আবাদী জমি হতে মাটি টাকা বন্ধে ব্যবস্থা ও মাটি টাকার অপরাধীগণকে আইনের আওতায় আনতে ব্যবস্থা নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের ব্যবস্থা করা জনস্বার্থে রিট করেন আ্যডভোকেট আবুল কালাম আজাদ উজ্জল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাভেল খান পাপ্পু বলেন, সম্প্রতি জরিপে উপজেলায় চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমান ২৪ হাজার ২৪০ হেক্টও কৃষি জমি ছিলো এখন রয়েছে ২৩ হাজার ৯শত ৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ চলছে। গত দুই বছরের মধ্যে ২হাজার হেক্টর জমি বিলিন হয়ে গেছে ড্রেজার। আমি উদ্ধিগ্ন ও আতংকিত। কেননা তিন ফসলি জমির টপসয়েল্ট (উর্ভর মাটির উপরের অংশ) ব্যাপক হারে কেটে নিচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ১বছরের মধ্যে চাষাবাদের জন্য একখন্ড জমি থাকবে না
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আলাউদ্দীন ভূইয়া জনী বলেন, ড্রেজারে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ১শ’টি ড্রেজার বন্ধ করেছি আমি এবং আমার সহকর্মী মুরাদনগর সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ নাজমুল হুদা ড্রেজার বন্ধ করেছে ৪শ’টি। তারপর সব রকমের প্রদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কড়া ভাবে নিষেধাজ্ঞা আছে জমির মাটি কেটে নিয়ে অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না।