কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
হাফসা ওরফে আয়েশা(২৩)। প্রতারক স্বামী খপ্পরে পরে প্রাণ গেলো মা ও সন্তানের। গোসল কাফনের কাপড় না পরিয়ে জানাজা না দিয়ে হাফসা ওরফে আয়েশাকে নবীপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে মাটিচাপা দিয়েছে প্রতারক স্বামী জাহাঙ্গীর আলম(২৮)। আসলে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নয় আয়েশা। জাহাঙ্গীর আলম বিয়ে করেনি। জাহাঙ্গীর আলম এখনও অবিবাহিত রয়েছে। এঘটনা নবীপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর সৃস্টি হয়েছে।
নবীপুর গ্রামের সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা ১৫ নং নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নবীপুর গ্রামের মৃতঃ ফজলু চকিদারের ছেলে প্রবাসীশরিফ উদ্দিনেরস্ত্রী’র জোনাকি ঘরে ঝিয়ের কাজ করতো ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলা চাঁনলা গ্রামের সাবেক মৃতঃ আঃ রহমান মেম্বারমাতাঃ মনি বেগম মেয়ে হাফছা ওরফে আয়েশা। এসুবাধে নবীপুর গ্রামের আলী আকবর, মাতাঃ দেলোয়ারা ছেলে জাহাঙ্গীর আলম(২৮) সাথে হাফছা ওরফে আয়েশা পরিচয় ঘটে। এই পরিচয়েজাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবেদৌহিক মেলামেশা করে হাফসা ওরফে আয়েশাকে। এতে করে আয়েশা গর্ভে বাচ্চা আসে। আয়েশা জাহাঙ্গীর আলমকে গর্ভের সন্তানের কথা জানালে জাহাঙ্গীর গর্ভের সন্তান নস্ট করা ঔষূধ খাওয়ায়।জাহাঙ্গীর ঔষূধখাওয়ানোর আয়েশা গর্ভের বাচ্চা নস্ট হয়। আয়েশা পেটের বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয়নাই।হাফসা ওরফে আয়েশা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল চিকিৎসার অবস্থায় মারা যায়।
কুমিল্লা কাতয়ালী থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে,কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালআয়েশাকে ভর্তি করে জাহাঙ্গীর আলম ঠিকানা গোপন করে।জাহাঙ্গীর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। মোবাইল নাম্বার বন্ধ করে দেয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ওয়ার্ড মাস্টার পক্ষ থেকে বিষয়টিকুমিল্লা কোতয়ালীথানাকে অবগত করেন। কুমিল্লা কাতয়ালী থানা মুরাদনগর থানাকে অবগত করলে মুরাদনগর থানা এসআই মুর্শেদ নবীপুর গ্রামের মোঃ মাইন উদ্দিন মেম্বারকে নিয়ে নবীপুর গ্রামের আলী আকবর, মাতাঃ দেলোয়ারা ছেলে জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আয়েশাকে ভর্তি করে। চিকিৎসা অবস্থায় মারা যায়।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে আয়েশার লাস নবীপুর এনে কাউকে না জানিয়ে আয়েশার লাস গোসল ছাড়া কাফন ছাড়া ও জানাজা না পরিয়ে গোপনে নবীপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে আয়শাকে গোপনে দাফন করে। জাহাঙ্গীর আলম এখনও অবিবাহিত। এনিয়ে নবীপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর সৃস্টি হয়েছে।
শরিফের স্ত্রী জোনাকি(০১৭৮৪৪৬৬২০৬) বলেন, হাফছা ওরফে আয়েশা আমার বাড়ীতে কাজ করেছে আড়াই মাস। যখন দেখছি জাহাঙ্গীরের সাথে দিন রাত কথা বলছে তখন আমি বিদায় করে দিয়েছি। হাফছাকে জাহাঙ্গীর বিয়ে করে নাই। মামলা থেকে বাচার জন্য বলছে বিয়ে করছে। হাফসার বাবা মারা গেছে, মা অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছে। এই ঘটনা খোজখবর নেওয়ার মত কেউ নেই মৃত হাফছা ওরয়ে আয়েশার।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে সাথে কথা বলা যায়নি।
ইউপি’র সদস্য মাইনউদ্দিন বলেন,(০১৮২৪৮৫৮২৩৬) মাইন উদ্দিন মেম্বার লোক মাধ্যমে খোজ খবর নিয়ে জানতে পারে মেয়েটি জাহাঙ্গীরের পরিচিত। কেউ কেউ বলে স্ত্রী হাফসা ওরফে আয়েশা।
নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন বলেন,(০১৬০৯০০০১৭৫) জাহাঙ্গীর আলম হাফছাকে বিয়ে করছে এমন কোন ডকুমেন্ট নাই। মুরাদনগর থানা এসআই মুর্শেদ(০১৮৭৮০৯৮৬০০) বলেন, ঠিক আছে। অফিসে আসেন। সাক্ষাৎতে কথা বলি।