বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন
সবর্শেষ সংবাদ :
চাঁদপুরে এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষায় ৫২ কেন্দ্রে ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেবে চাঁদপুরে এক ইলিশ বিক্রিে ১৩ হাজার ১৫০ টাকায়  চাঁদপুরে ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নির্বাচনে ২২ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন মানিক দাস  মতলবে টিএনটি এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় ০২ জন আটক মতলব উত্তরে যৌথ অভিযানে একটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার মুন্সী আজিমউদ্দিন কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও মিলাদ অনুষ্ঠান ডাকঘর এলাকায় মোটরসাইকেলের চাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু  চাঁদপুর ডিএনসি” র অভিযানে  আটক ১  ধারের টাকা না পেয়ে বিনা চিকিৎসায় পিতার মৃত্যু, পুত্রের সংবাদ সম্মেলন

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভিতর প্রায় খাল গুলিই সংস্থারের অভাবে বিলুপ্তর পথে…

  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
  • ৯২ বার পঠিত হয়েছে

গোলাম নবী খোকনঃ

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় অবস্থিত দেশের অন্যতম বাঁধ মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ীবাঁধ। এ বাধঁ তৈরীতে যার অবদান তিনি ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের কৃতি সন্তান মরহুম আয়েত আলী ইঞ্জিনিয়ার। যার হাত ও কলমের কালি দ্বারা এ বাধঁ তৈরীর সৃষ্টি হয়। বাঁধ তৈরী করার উদ্দেশ্য ছিল অতি মহৎ। কালের বিবর্তনে বর্তমানে বাঁধ রয়েছে হুমকির মুখে।

১৯৭৯-৮০ সালে বাঁধ ৬৪ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে নদী বেষ্টিত সাড় সতর হাজার হেক্টর জমি নিয়ে কাজ শুরু হয়। ১৯৮৭-৮৮ সালে বাঁধ নির্মিত হয়। ঐ সময় দু,বার বাঁধ ভাঙ্গে যায়। হয় বাড়ি ঘর, গাছ পালা তরুলতা ও কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। ১৯৮৮ সালের বন্যায় পুরো এক মাস বন্যা থাকে, ৩০ ভাদ্র হাটের দিন বৃহস্পতিবার বাঁধ ভাঙ্গে যায়। এ বাধঁ মূলতঃ তিনটি উদ্দেশ্য নিয়ে জনস্বার্থে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। উদ্দেশ্য গুলি হচ্ছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও ইরিকেশন।

২০০১-২০০২ সালে ইরিকেশন চালু হয়। পর্যায়ক্রমে বাঁধের মানুষ সুফল ভোগ করা শুরু করে। এ বাধেঁর কার্যক্রম শুরুর সময় মানুষের অনেক ক্ষতি গ্রস্ত করেছে এবং অনেক মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। ঐ সময় বাঁধ নির্মান কাজের কন্য জমি অধিগ্রহণ হয়, জমি অধিগ্রহণের মূল্য ছিল অতি নগন্য। ঐ সময় যার জমি অধিগ্রহণ হয়েছে অনেকেরই ভিটে মাটি ছাড়া কিছুই ছিল না, অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমান সময়ে বাঁধের মানুষ প্রত্যেকেই সুফল ভোগ করছেন। প্রকল্পের ভিতর শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন।

আর যে উদ্দেশ্য বাঁধ নির্মিত হয়েছে, ঐ উদ্দেশ্য ভেস্তে যেতে শুরু করেছে। যেমনঃ ইরিকেশন সেচ ব্যবস্থা, প্রথমে তের হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পেত কৃষক, এখন প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জমিতে সেচ সুবিধা নিচ্ছে কৃষক। বন্যা নিয়ন্ত্রণঃ ইনশাআল্লাহ এ পর্যন্ত বন্যা মুক্ত হয়েছে বাঁধ। প্রকল্পের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আছে কিন্তু পানি নিষ্কাশন খাল গুলি প্রায় অকেজো হয়ে পরছে। বাঁধ নির্মান হওয়ার প্রায় ৩৫ বছর অতিবাহিত হয়ে গেল কিন্তু এ পর্যন্ত পানি নিষ্কাশন খাল গুলি পূর্ণঃ খনন করতে পারেননি পানি উন্নয়ন বোর্ড, যদি ও হয়ে থাকে দ,একটি।

যে খাল গুলি দিয়ে অনবরত নৌকা চলাচল করতো, এ গুলি সব বিলুপ্তির পথে। এখন নৌকা চলবে তো দূরের কথা, খালের প্রসস্থ আছে একটি বেঙের লাফ। এখন প্রকল্পের ভিতর অনেক সমস্যায় জর্জরিত, খালে কচুরিপানা, জঙ্গল, খালের পারে গাছ গাছালী, খালের তলা পলিতে ভরে গেছে, অনেক স্বার্থনেশ্বী মহল জমি বাড়িয়ে খালের প্রসস্থ কমিয়ে ফেলছে, অনেকেই করছেন বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ। আর হয় নাই খালের সংস্কার কাজ। এ সমস্ত সমস্যার কারনে সেচ মৌসুম ও বর্ষায় বৃষ্টি মৌসুমে নীচু জমিতে জলাবদ্ধতা হয়ে কৃষকের রোপা ধান তলিয়ে যায়, আবার দেখা গেছে জলাবদ্ধতার কারণে ধান রোপন করতে পারছে না, সে কারনে কৃষকরা প্রতি বছরই ধান ও বিভিন্ন ফলমূল চাষে কৃষকের লোকশান গুনতে হয়।

যারা দায়িত্বে আছে তাদের সঠিক তদারকি না করার কারনে প্রকল্প এখন হুমকির মুখে। কৃষি জমি কমে যাচ্ছে এর কারন কি? এ ব্যাপারে জানতে চায় অভিজ্ঞ মহল। যেখানে সেখানে অবাধে দালান কোঠা, ঘর বাড়ি, রাস্তা ঘাট, ব্রীজ কালবার্ট তৈরী। এ ছাড়া বেড়ীবাঁধের উপর, সেচ ক্যানেলের উপর পানি নিষ্কাশন খালের উপর অবৈধ স্থাপনার হিড়িক মনে হয় যেন মামুর বাড়ির আবদার। বাঁধের ভিতর প্রত্যেক এলাকাতেই রয়েছে ৩/৪ টি পানি নিষ্কাশন খাল। সব খালেই রয়েছে সমস্যায় জর্জরিত। প্রকল্পের ফতেপুর, ঠেটালীয়া, সিপাই কান্দি, পশ্চিম বাইশপুর এলাকা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নবুর কান্দি, গাজীপুর নদীতে সংযোগ রয়েছে যার নাম পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক দেওয়া হয়েছে D4-1 পানি নিষ্কাশন খাল।

এর ভিতর রয়েছে অনেক গুলি শাখা খাল, যেমন সিপাই কান্দি মরহুম লাল মিয়া প্রধান এর বাড়ি হইতে সিপাই কান্দি কবরস্থান হয়ে দুটি সংযোগ খাল একটি কবরস্থান হয়ে মরহুম রহিম বক্স বেপারী বাড়ি পর্যন্ত অপরটি কবরস্থান হয়ে মরহুম বেলায়েত হোসেন সরকার বাড়ি পর্যন্ত। দেখলে মনে হবে যেন দেখার কেউ নেই। মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বেড়ীবাঁধ সংস্থার কাজ ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মান কাজের জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম মোহনের প্রচেষ্টায় ৩ কোটি ৪৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ প্রকল্প বাচানোর জন্য উর্ধতন কর্তৃ পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন প্রকল্প বাসি।

দয়া করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ বিপ্লব সরকার, যুগ্ম সম্পাদক মরিয়ম আক্তার হিরা, নির্বাহী সম্পাদক: মানিক বেপারী, বার্তা সম্পাদক রাজু আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদক মানিক দাস, আলমাস হোসেন।

ঠিকানা এস এম গার্ডেন জেএম সেনগুপ্ত রোড চাঁদপুর মোবাইল ০১৭১৪২৪৮৫৮৯,ইমেল crimeaction24@gmail.com