আলমাস হোসেন : ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
ঢাকার আশুলিয়ায় মোবাইল ভাঙ্গার বিচার চাইতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক নারী। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিফোরএস নামে বেসরকারি সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠানের দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
শনিবার (০৮ অক্টোবর) সোয়া তিনটায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ।
এর আগে শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে আশুলিয়ার বুড়ির বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার পেগইল মধ্যপাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মো. ফেরদৌস খন্দকার (৩৮) ও দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর থানার খোপতল গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মাসুদ আবেদীন (৩০)। তারা দুজন একই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারী জিফোরএস প্রতিষ্ঠানের নারী নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে আশুলিয়ার ডিইপিজেড এরিয়ায় কাজ করেন। এই সুবাদে আশুলিয়ার বুড়িরবাজার এলাকায় কোম্পানির মেসে অন্যান্য নারী সহকর্মীদের সঙ্গে বসবাস করেন। গত ৬ অক্টোবর ঝগড়ার একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন একই মেসের অপর নারী নিরাপত্তাকর্মী। পাশেই তারা মিয়ার বাসার নিচতলা ভাড়া নিয়ে একই প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মী ও কর্মকর্তারা বসবাস করেন। সেখানে গিয়ে মোবাইল ভাঙার বিচার দেন ভুক্তভোগী।
এসময় তার অন্যান্য নারী সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কক্ষে যেতে বলেন অভিযুক্ত কর্মকর্তারা। ভুক্তভোগী কথা মতো তাদের কক্ষে গেলে মোবাইল ভাঙার বিচার করে দেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী ব্যতীত বাকী সবাইকে চলে যেতে বলেন। পরে কৌশলে দরজা আটকে দিয়ে তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার সহকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাবিব ক্লিনিকে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। পরদিন ৭ অক্টোবর সকালে ভুক্তভোগী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করলে রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তারও করেছি। তাদের শনিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই সাথে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।