মানিক দাস //
চাঁদপুরের স্বনামধন্য নৃত্য সংগঠন সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের গৌরবের ৩ যুগ পূর্তি উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও মনোজ্ঞ নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়েছে। ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেলে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে চলে রাত পর্যন্ত।
সন্ধ্যাকালীন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত।
তিনি বলেন, মানুষ জন্মগত ভাবেই কর্মশিল্পী। কেউ নৃত্য শিল্পী, কেউ কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু আমরা জীবনের বাস্তবতা নিয়ে চলতে গিয়ে হয়তো সেগুলোকে হারিয়ে ফেলি। সংস্কৃতি আগামীদিনকে উজ্জিবিত করে।
তাই নিজ নিজ কর্মের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চর্চাকে অব্যাহত রাখলে সকল প্রতিভাই বেঁচে থাকবে। এমন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বার বার ফিরে আসুক বাংলার আবহমান সংস্কৃতি। তিনি আরো বলেন, সপ্তরূপা নৃত্যু শিক্ষালয় একটি চমৎকার নামকরণ করা হয়েছে। এই নামের অনেক অর্থ বহন করে।
সংগঠনের ৩ যুগ পূর্তি উৎসব উদযাপন পরিষদের আহবায়ক শহীদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং শিল্পকলা একাডেমির সংগীত প্রশিক্ষক ও উৎসবের সদস্য সচিব কণ্ঠশিল্পী মৃণাল সরকারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অজয় কুমার ভোমিক, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহাসচিব হারুন আল রশিদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, চাঁদপুর রেলওয়ে কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ মাহমুদা খানম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবুল কালাম প্রমুখ। শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের অধ্যক্ষ অনিমা সেন চৌধুরী, স্বরলিপি নাট্য গোষ্ঠীর সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা এম আর ইসলাম বাবুসহ অন্যান্যরা।
আলোচনা শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ী প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও সংগঠনের প্রাক্তন সদস্যদের মাঝে শুভেচ্ছা উপহার বিতরণ করা হয়। সবশেষে সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ নৃত্য অনুষ্ঠান।