মানিক দাস // চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড রঘুনাথপুরে ইয়াকুব বেপারী বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে খালে লাশ রিক্সা চালক দিলালের লাশ উদ্ধার করে।হত্যাকাণ্ডের ১৩ দিনের মাথায় চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৃত খুনী দক্ষিণ গোবিন্দিয়া রাজারহাট গ্রামের মাঝিবাড়ির হাবিবুর রহমান মাঝির ছেলে শরীফ মাঝি (২৪) কে আটক করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় প্রেস ব্রিফিং এ বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শরীফ মাঝি বলেছে ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ১১ টায় জেলা লঞ্চঘাট থেকে দুলাল হাওলাদার কে বয়স্ক দেখে তার ব্যাটারী চালিত রিক্সাটি চুরি করার জন্য রিক্সাযোগে জনকল্যাণ বাজারে যাওয়ার পূর্বে সে রিক্সায় ইট নিয়ে উঠে। রিক্সা চালক দুলাল আর যাবেনা বলে জানায়।তখন খুনি শরীফ মাঝি রঘুনাথপুরে যেতে বলে। তখন রঘুনাথপুর টিক্কার পুল নামক স্হানের ইয়াকুব খান বাড়ির সামনের আসলে রাত সাড়ে ১২ থেকে দেড়টার মধ্যে আটক শরীফ মাঝি পেছন থেকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে দুলাল হাওলাদারকে আহত করে টিক্কার পুলের খালে ফেলে দেয় বলে তিনি জানান। পরে ব্যাটারী চালিত রিক্সাটি নিয়ে ঘাতক শরীফ মাঝি জনকল্যাণ বাজার হয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যায়। নিজ বাড়ির বাগানে রিক্সা রেখে ঘরে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে তারপর যন্ত্রপাতি নিয়ে রিক্সা থেকে সকল পার্টস আলাদা করে ফেলে। ব্যাটারী গুলি বাগানের পাশে লুকিয়ে রাখে। রিক্সার বডি পুকুরে ফেলে দেয়।
তথ্য প্রযুক্তি ও লঞ্চঘাট এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা পর্যালোচনা করে ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল পৌনে ৬ টায় শরীফ মাঝি কে ইচুলি এলাকার ইয়াছিনের বেকারী থেকে তাকে আটক করা হয়।দুলালের স্ত্রীর দায়ের করা চাঁদপুর মডেল থানায় ৩০২ /২০১/৩৪ ধারায় মামলা নং ৩৭।পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বি পি এম, পি পি এম এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন অর্থ সুদীপ্ত রায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মুহসিন আলমের তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী অফিসার ও পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজীব শর্মা চাঁদপুর মডেল থানার চৌকস ফুসদের সহায়তায় তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।