মানিক দাস ।। পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসক সস্মেলন কক্ষে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টায় সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এসময় তিনি বলেন, ব্যবসায়িদের কাছে অনুরোধ চাঁদপুরের ডিমান্ড যেন ঠিক রাখে। বেশী লাভের আসায় নিজ জেলার পণ্য যেন অন্য জেলায় বিক্রি না করা হয়।
কোয়াটিলি পন্যের উপর ভোক্তার নজর বেশী থাকে তাই তখন ভোক্তা দামের দিকে তাকায় না। আপনারা কম দামে পন্য বিক্রি করবেন কিন্তু পণ্যের গুনগতমান ঠিক রাখবেন না তাহলে তা ভোক্তার নজর কারবে না। বেকারী ও হোটেল গুলো যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে খাবার পরিবেশন ও বিক্রি করবেন। খাবারে যেন কোনভাবেই রং ব্যবহার না করা হয় সেদিকে ব্যবসায়িরা নজর রাখবেন। রমজান উপলক্ষে কম লাভ করে পন্য বিক্রি করে উদাহরন সৃি্রর্স্ট করুন। দাম সহনীয় থাকলে গরীব মানুষ পন্য কিনতে পারবে। রমাজনে ছোলা প্রয়োজন হয় তাই অনেকেই ছোলার দাম অনেকে বাড়িয়ে ফেলেন। তা যেন না হয় কারন দেশে প্রচুর ছোলা বাসদানি করা হয়েছে। একই বাজারে যেন দোকা গুলোতে যেন ভিন্ন ভিন্ন দাম না হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সূদীপ্ত রায় তাররবক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরের বাইরে কোননপাকিং জোন নেই। রমজানের সময় ইফতারি বিক্রির সময় হোটেলগুলে পরসা সাজিয়ে রাস্তায় নিয়ে আসেন তা যেন না হয়। সকলকে ব্যবসা করবেন তবে তা যেন অসহনীয় পর্যায়ে না যায় সেদিকে নজর দিতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন পাটওয়ারী এসডু, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আখন্দ, বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক গোপাল সাহা, জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, জেলা ক্যাবের দপ্তর সম্পাদক মোঃ বিপ্লব সরকার, পালবাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি হারুন পাটওয়ারী।
এসময় বক্তারা বলেন, ব্যবসায়িদের মধ্যে সচেতনা আসলেই দ্রব্যের দাম ঠিক থাকবে। পাইকারে বাজারের চাইতে খুচরা বিক্রেতারা অনেক বেশী লাভ করে থাকেন। তাই আমাদেরকে খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের দিকে নজর দিতে হবে। সরকার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তবে ভোক্তাদের পন্য ক্রয়ের বিষয়ে আরোও সচেতন হতে হবে। পুরানবাজারে যদি পন্যের দাম অতিরিক্ত রাখা হয় তাহলে চেম্বারকে সাথে নিয়ে আপনারা ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। ব্যবসায়িরা যদি সহনশীল না হয় তহালে জেলা প্রশাসনের আইন প্রয়োগে ভাল কোন ফল আসবে না। মাহে রমজানের পর ঈদ উপলক্ষে ১২ থেকে ১৩ টি বেকারী সেমাই তৈরি করে থাকে। ঢাকার বড় কোম্পানির চাইতে অর্ধেক থাকে চাঁদপুরের বেকারীগুলোর সেমাইয়ের দাম।
এসময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শাখাওয়াত জামিল সৈকত, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মৌলি মন্ডল, জেলা ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন, পরিবশে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ হান্নান, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি নুরুল আলম লালু, জেলা ক্যাবের সদস্য অভিজিত রায়সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।