নিজস্ব প্রতিবেদক।। ঢাকা-চাঁদপুর নৌ রুটে চলাচলতারী যাতিভাহী লঞ্চ আল বোরাক লঞ্চ রিকজিশন দেখিয়ে চাঁদা দাবী করায় চাঁদপুর নৌ পরিবহন পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেড কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন আল বোরাক লঞ্চ এর মালিক পক্ষের ঘাট সুপারভাইসার বাবুল মিয়া। মামলা নং- সিআর ১০৬৮/২৪ সদর, তারিখ ২২/১০/২৪।
মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি নিয়ে আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে তদন্ত করতে ৩ নভেম্বর রোববার সকালে পিবিআই এর একটি তদন্দ টিম সরজমিনে চাঁদপুর লঞ্চ ঘাটে যায়।
মামলার বাদী আল বোরাক লঞ্চ এর মালিক পক্ষের ঘাট সুপারভাইসার বাবুল মিয়া বলেন, ইতিপূর্বে সরকারি কাজে লঞ্চ রিকজিশন করলে অন্তত ২৪ ঘন্টা পূর্বে মালিক পক্ষের কাগজ পাঠানো হতো। কিন্তু টিআই কোন প্রকার সরকারি নিয়মনীতি না মেনে পূবর্ ঘোষণা ছাড়াই যত্রী ভর্তি লঞ্চ থেকে যাত্রি নামিয়ে দিয়ে রিকজিশন করেন। এভাবে লঞ্চ রিকজিশন করার ঘটনা চাঁদপুর ঘাটের ইতিহাসে এ প্রথমবার হলো। এভাবে লঞ্চ রিকজিশন করায় মালিকের প্রায় ৩ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। শূধু তাই নয় এঘটনায় লঞ্চ কতৃৃপক্ষের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, বিগত ২০ অক্টোবর ঈদগাঁ ফেরিঘাট থেকে প্রায় তিনশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে চাঁদপুর আন্তঃজেলা লঞ্চ ঘাট টার্মিনাল থেকে আরও একশত যাত্রী উঠায় ঢাকা যাওয়ার জন্য। চাঁদপুর লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চটি সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ঠিক ৯টা ২০ মিনিটের সময় চাঁদপুর নৌ পরিবহন পরিদর্শক মাহতাব উদ্দিন লঞ্চে ওঠে বলে আপনার লঞ্চটি রিকোজিশনে দিতে হবে। লঞ্চটি রিকেজিশন বরে আমরা ইলিশ নিধন বন্ধের অভিযানে পঠোবো। এ কথা শুনে লঞ্চ এর সকল স্টাফ বিনীতভাবে টিআইকে অনুরোধ করে বলেন, আমরা লঞ্চে দুটি ঘাট থেকে প্রায় চারশতাধিক যাত্রী উঠিয়েছি এরমধ্যে কিছু অসুস্থ যাত্রী রয়েছে যারা চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাচ্ছেন। যাত্রীসহ লঞ্চটি আপনাকে রিবোজিশনে দেওয়া সম্ভব নয়। লঞ্চ কতৃপক্ষ টিআইকে বুঝাইতে ব্যর্থ হয়ে বলেন-অন্য একটি লঞ্চ এনে দেওয়া হচ্ছে যেহেতে আল বোরাক লঞ্চটিতে এখন যাত্রী রয়েছে। আমরা এ চাইতেও বড় লঞ্চ এমভি রফ রফ এনেদিচ্ছি। বিভিন্নভাবে বুঝানোর পরও টিআই বলেন লঞ্চটি রিকোজিশনে দিতে হবে অন্যথায় ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। টাকা না পেয়ে টিআই নিজেই যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলে লঞ্চটি রিকজিশন করা হয়েছে আপনারা নেমে পাশে অন্য লঞ্চ আসে সেটিতে করে ঢাকায় যান। একথা বলার পর যাত্রীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। কিছু যাত্রী হট্রোগোল করে প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।