মানিক দাস // শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ নভেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে প্রস্তুতিমুলক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদের সঞ্চালনায় প্রস্তুতিমুলক সভাটিতে ব্যাপক স্বিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসের সকল কর্মকাণ্ডে প্রজম্মকে সম্পৃক্ত করতে পারলে তারা ইতিহাস সম্পর্কে আরো জানতে পারবে।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা বিজয় মেলা মঞ্চেই অনুষ্ঠিত হবে।
কুচকাওয়াজের একটা নিয়ম আছে, এক সময় আমরা স্কুল, কলেজে পড়ার সময় আমরা প্রতিদিন প্যারেড করতাম, কিন্তু বর্তমানে তা স্কুল, কলেজে হচ্ছে না। যার ফলে আমাদের প্রজম্ম ও শিক্ষার্থীরা দিবস আসলে দু – এক দিন প্যারেড করে। তাতে কুচকাওয়াজে কিছুটা সমস্যা দেখা যায়। এখন থেকে যদি শিক্ষার্থীদের প্যারেড প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তাহলে বিজয় দিবসে আমরা সুন্দর কিছু উপহার দিতে পারবো। বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধাদের সংবধনা অনুষ্ঠানটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার হল রুমে অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া দেশি সংস্কৃতি ধরে রাখতে জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্হাপনায় গ্রামীণ খেলা অনুষ্ঠিত হবে। নতুন ভ্যানূ হিসাবে পুরান বাজার মধুসূদন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ও খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস সকাল ৮ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পুষ্প্রস্তবক অর্পণ।সুবিধা জনক সময়ে বিজিবি দিবস পালনকল্পে মন্দির গির্জা প্যাগোডা,ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হবে।সন্ধ্যা ছয়টায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের উপাত্ত সম্মিলিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেবশ্রী তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা একই মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।
অপরদিকে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবহুল স্হানে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র ও চলচিত্র প্রদর্শন করা হবে।১ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্কেটবল,হ্যান্ডবল, টি টুয়ান্টি ক্রিকেট টুনামেন্ট, কাবাডি সহ দেশিয় খেলার আয়োজন। ১৬ ও ১৬ ডিসেম্বর ইলিশ চত্বর, অঙ্গীকার, রক্তধারা এলাকা জাতীয় পতাকাদ্বারা সজ্জিত করা হবে।
১৩ ও ১৫ ডিসেম্বর শিশু একাডেমীর মাধ্যমে শিশুদের চিত্রান্কন,রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্হাপনায় দেশাত্মবোধক ও লোকসঙ্গীতের প্রতিযোগীতা। ১৩ থেকে ১৬ ডিসেম্বর সুবিধাজনক সময়ে চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক আলোকচিত্র প্রদর্শনী। বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্যদিয়ে বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে মুক্তিযুদ্ধাদের স্মরনে অঙ্গীকারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হবে।বিজয় দিবসের দিন সকাল সাড়ে ৮ টায চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শিশু কিশোরদের কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করা হবে।একই ভ্যানুতে বীর মুক্তিযুদ্ধাদের সংবধনা অনুষ্ঠিত হবে।দুপুর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের যুদ্ধ জাহাজ দর্শনার্থীদের জন্য উম্মোক্ত রাখা হবে।বিকালে নারীদের জন্য প্রীতি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
বিকালে জেরা প্রশাসন বনাম পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ও রশি টানাটানি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় বিজয় দিবসের আলোচনা সভা আউটার স্টেডিয়ামর বিজয় মেলার মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।
বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদ কমাণ্ডার বীর যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এমএ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত নারী মুক্তিযুদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, জেলা স্কাউটস সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ,
পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ,জেলা শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী সদস্য শহীদ পাটোয়ারী, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, জেলা ক্রিড়া সংস্হার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু, সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু প্রমুখ। সভায় সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।