মানিক দাস// সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা ও পুলিশ সদস্যদের সংবধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৭ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মঞরচে তা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি অ্যাডঃ জাফর ইকবাল মুন্নার সভাপতিত্বে ও কণ্ঠ শিল্পী মৃনাল সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম ( বার)।
তিনি বক্তব্যে বলেন, ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠান। পুলিশ বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত বাহিনী হিসেবে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণে প্রথম পুলিশ বুকে রক্ত দিয়েছে। তারা কি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে টানা তিন ঘণ্টা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। পরবর্তীতে পাকিস্তান বাহিনী শক্তিশালী হয়ে গভীর রাতে রাজার বাগ পুলিশ লাইন হামলা করে পুলিশ সদস্যদের কে নির্মমভাবে হত্যা করে। হাজার ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিন সেখানে একজন পুলিশের এএসআই কেউ হত্যা করা হয়।
তিনি আরো বলেন আপনারা শহরবাসী রাতে শান্তিতে ঘুমান পুলিশ সদস্যরা পাহারা দেয় বলে। বিষয়ে একটি পক্ষ পুলিশের বিপক্ষে সব সময় থাকে, কেননা বিচার পায় না বলে পুলিশের বিপক্ষে থাকে। তবে আমাদের পুলিশের মধ্যে সব ভালো তা বলা যাবে না। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর কি হয়েছে। এখন সরকারি পোশাক পরে সরকারি খাদ্য সহায়তা পায়। পুলিশ সদস্যরা যদি কোথাও লাশের খবর পায় তা উদ্ধার করে দাফন ও সৎকার করে। সকল দুর্যোগে পুলিশ ছুটে যায়। করণা চলাকালে বাবা মায়ের মৃত্যু হলে সন্তানেরা ফেলে রেখে পালিয়ে যেত, কিন্তু পুলিশ সদস্যরা সেখানে গিয়ে ওই পিতা-মাতার দাফন সম্পন্ন করতো। একেই বলে মানবিকতার পুলিশ। আজকে যেসব পুলিশ সদস্যদের কে সংবর্ধনা প্রদান করা হলো তাদেরমধ্যে তিন জন অফিসার ইনচার্জ ব্যতিত বাকিদের চাকরির মেয়াদ শেষ।
আপনাদের সংগঠন থেকে দেওয়া সংবর্ধনায় তাদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। উদ্বোধকের বক্তব্যে মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, জয় বাংলা স্লোগান প্রথম রাজার বাগ পুলিশ লাইন থেকে উচ্চারিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেদিন প্রতিবাদস্বরূপ কালো পতাকা উড়িয়ে ছিলেন। অপারেশন সার্চলাইট নামে 25 মার্চ রাতে পাকিস্তান বাহিনীর রাজার বাগ পুলিশ লাইনে হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে। সেদিন তারা থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিহত করতে চেয়েছিল। সেই রাতে তারা আরো শক্তি শালি হয়ে রাজার বাগ পুলিশ লাইনে হামলা করে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করেছি।
প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন কাজী শাহাদাত, ইলিশ উৎসবের রূপকার হারুন আল রশিদ,পশ্চিম বিষ্ণুদী পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি হারুনুর রশিদ বন্দুকশি,জেলা সম্মেলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, মাহমুদা খানম। অনুষ্ঠানের শুরুতে সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের সকল নৃত্য শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোঙ্গ নৃত্যানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। নিরলস সাহসিকতার জন্য পুলিশ সদস্য চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশীদ, হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান মোল্লা, পুলিশ সদস্য আমিরুল ইসলাম খান,নুরুল ইসলাম, দুলাল চন্দ্র শিল, আবদুল সামাদ, আবু তাহের, আবুল কাশেম, সিরাজুল ইসলাম, আঃ ওয়াদুদ, তাদের কে সপ্তরূপা নৃত্য শিক্ষালয়ের পক্ষ থেকে সংবধনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়