মানিক দাস// ২২ অক্টোবর শনিবার দেশব্যাপী গন অনশন কর্মসূচী পালন করেন বাংলাদেশ হিন্দু- বৌদ্ধ – খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সকাল সন্ধ্যা গন অনশনের আয়োজন করেন চাঁদপুর জেলা হিন্দু – বৌদ্ধ – খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। জেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ রনজিত কুমার রায় চৌধুরীর (পিপি) সঞ্চালনায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত উপজেলা কমিটি ও পৌর কমিটিসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মঠ, মন্দির ও প্রগতিশীল ভাবধারার শ্রেনী পেশার মানুষ আন্দোলনের প্রতি একাত্বতা প্রকাশ করেন।
তারা দাবী দাওয়া পুরনে ২০১৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন, বৈষম্য বিলোপ আইন প্রনয়ন, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষন আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন যথাযথ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন দাবী সমূহ মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। তারা বলেন স্বাধীনতার এতবছর পরও নিজেদের স্বাধিকার আদায়ের জন্য ধর্মীয় সংখ্যলঘুদেরকে কেন আন্দোলন সংগ্রাম করতে হবে? এই কি জাতির জনকের স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির জনক বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চেয়েছিলেন।

তিনি সকলেন সমঅধিকার প্রতিষ্টায় আজীবন সংগ্রাম করেছেন, নিপীড়িত, নির্যাতিত, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। তাহলে আজ কেন তারই সুযোগ্যকন্যা মানবতার মা রাস্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকা অবস্থায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বৈষম্যর শিকার হবে। দাবী আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করবে। আজকের এ গনঅনশন কর্মসূচীই হোক ধর্মীয় সংখ্যলঘুদের দাবী আদায়ের শেষ আন্দোলন। যাতে আর কোন দিন রাস্ট্রীয় অধিকার আদায়ের লক্ষে আমাদের রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে না হয়।
সন্ধ্যায় গনঅনশনের প্রতি একাত্বতা ঘোষনা করে অনশনকারীদেরকে জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী। তিনি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ন্যায় সঙ্গত দাবী মেনে নেওয়ার জন্য জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
অনুষ্টানে একাত্ম ঘোষনা করে আরো বক্তব্য রাখেন বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চাঁদপুর জেলা সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক অজয় কুমার ভৌমিক, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক প্রফেসর রনজিৎ কুমার বনিক, বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার ডাঃ পিযুষ কান্তি বড়ুয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, শিক্ষিকা মৃদুলা সাহা, শারদান্জলী ফোরামের সভাপতি রিপন সাহা, সহসভাপতি শ্যামল চন্দ্র দাস, সংগঠক যুবরাজ দাস, তপতী কর, এছাড়াও বক্তব্য রাv খেন চাঁদপুর সদর উপজেলা ঐক্য পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বাসুদেব মজুমদার, মতলব উত্তর উপজেলা সভাপতি রাধেশ্যাম সাহা (চান্দু বাবু) , সাধারন সম্পাদক শ্যামল কুমার দাস, মতলব দক্ষিন উপজেলা সভাপতি গনেশ ভৌমিক, সাধারন সম্পাদক বাদল নন্দী, হাজীগন্জ উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক স্বপন কুমার পাল, সাধারন সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন, হাজীগন্জ পৌর কমিটির সভাপতি লিটন পাল, ফরিদগন্জ উপজেলা সভাপতি ডাঃ পরেশ পাল, সাধারন সম্পাদক তপন মজুমদার, লিটন দাস, ফরিদগঞ্জ পূজা পরিষদ সভাপতি হিতেষ শর্মা, সাধারন সম্পাদক লিটন দাস, শাহরাস্তি উপজেলা সভাপতি ডাঃ কমল চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক মাধু দাস, হাইমচর উপজেলা সভাপতি অজয় কৃষ্ণ মজুমদার, চাঁদপুর পৌর ঐক্য পরিষদ সাধারন সম্পাদক অ্যাডঃ ভাস্কর দাস, জেলা ছাত্র যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি অপু বিশ্বাস, সাধারন সম্পাদক অতনু সাহা, গনঅনশনে গণসংগীত পরিবেশন করেন কন্ঠ শিল্পী সুদীপ কর তন্ময়, মনোজ আচার্যী, স্বজল সাহা, অর্পনা রানী দাস, পার্বতী চক্রবর্তী, শুভজিৎ কর প্রমুখ।