আলমাস হোসেনঃ ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
বিএনপির ডাকা টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচীর প্রথম দিনে সাভার ও আশুলিয়ার সড়ক ও মহাসড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে। এদিকে রাজধানীর প্রবেশ মুখ আমিনবাজারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। এছাড়া সাভারের বিভিন্ন অংশে টহল দিচ্ছে র্যাব ও বিজিবি।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার, হেমায়েতপুর, সাভার বাসস্ট্যান্ড, জাহাঙ্গীরনগর, নবীনগর ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল, ইপিজেড এবং বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া, নরসিংহপুর ও আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মহাসড়কগুলোতে দুই একটা যাত্রীবাহী বাস চলাচল করলেও যাত্রীর সংখ্যা ছিল হাতেগোনা। এছাড়া বাসস্ট্যান্ডগুলোতেও অপেক্ষমান যাত্রী দেখা যায়নি। ব্যক্তিগত যান, ট্রাক, লরিও দেখা গেছে সীমিত। সড়কে কোনো দূরপাল্লার বাস দেখা যায়নি।
নবীনগর এলাকায় সড়কের পাশে গাড়ি রেখে অলস সময় পার করছিলেন ডি লিংক পরিবহনের বাসচালক আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, যাত্রী নাই। অন্য বাসও তেমন নাই। তাই বাস বের করিনি।
সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈশাখী পরিবহনের বাস অপেক্ষমাণ দেখা গেলেও যাত্রী না থাকায় অনেক চালককেই বসে থাকতে দেখা যায়।
সাভার পরিবহন মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, মূলত আমাদের সাভার পরিবহনের ব্যানারে শতাধিক বাস চন্দ্রা থেকে রাজধানীর সদরঘাট রুটে চলে। একটা টিপ নিয়ে সদরঘাট যেতে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সবাই গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিল। কিন্তু যাত্রী না থাকলে খালি গাড়ি সড়কে চলবে কেমনে।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবুল হাসান বলেন, সড়কে যানবাহন কম। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, অবরোধ চলাকালীন সময়ে বিএনপি জামায়াত যেন কোনো ধরনের আগুন সন্ত্রাস করতে না পারে ও জানমালের ক্ষতিসাধন করতে না পারে সে কারণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।