আলমাস হোসেনঃ ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
সাভারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পিনিক রাব্বি গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেছে হৃদয় গ্যাংয়ের সদস্যরা। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (১০ জুলাই) সকালে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রোববার রাতে সাভার বাসস্ট্যান্ডের রাজ্জাক প্লাজার পেছনে সুপার ক্লিনিক সংলগ্ন এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- পিনিক রাব্বি গ্রুপের আকাশ (২১), ইয়াসিন (২২) ও সোহাগসহ (২১) চারজন। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। হামলাকারী হৃদয় গ্রুপের সদস্যরা হলেন- কিশোর গ্যাং লিডার হৃদয় (২২), আকাশ (২১), নুর উদ্দিন (২২) ও জনিসহ (২১) আরও ৮ থেকে ১০ জন সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার রাতে সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সুপার ক্লিনিকের পাশের একটি খাবারের দোকানে স্থানীয় পিনিক রাব্বি ও হৃদয় গ্রুপ নামে দুটি কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় গ্রুপের সদস্যরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র হাতে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। মুহূর্তেই এলাকাটিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। পরে আহতদের পার্শ্ববর্তী সুপার ক্লিনিকে নিয়ে গেলে এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহতদের সঙ্গে থাকা সুভাষ নামের এক ব্যক্তি বলেন, নুর উদ্দিন এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালনা করেন। কিশোর গ্যাংয়ের প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে রাত ১০টার দিকে ওই এলাকায় হৃদয়সহ তার গ্যাংয়ের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যায়। সেখানে হৃদয় বাহিনী রাব্বির লোকজনকে দেখামাত্র এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ৪ জনকে রক্তাক্ত জখম করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় ভয়ভীতি সৃষ্টি ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে এবং কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তার করতেই এই তাণ্ডব। এরা সকলেই উঠতি বয়সী এবং বখাটে। দুই গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধেই একাধিক মামলা রয়েছে। প্রায়ই তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ করে চলেছে। এ ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) নয়ন কারকুন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।