গত ১১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত এ অভয়াশ্রম কার্যক্রম চলমান থাকবে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী ইলিশ পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে এবং একইসঙ্গে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়ন করা হবে।
মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা নদীর ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এলাকায় বিরামহীন চষে বেড়াচ্ছে চাঁদপুর নৌ-পুলিশ।
চাঁদপুর নৌ-থানার পাশাপাশি হরিণাঘাট ও নিলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরাও অভিযানে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। গত ১৩ দিনে হরিণাঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ি ও নীলকমল নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৫৮জন জেলেকে আটক করা হয়েছে।
এরমধ্যে হাইমচর উপজেলার নীলকমল নৌ-ফাঁড়ির অভিযানেই আটক করা হয়েছে ১২৩ জেলেকে। নীলকমল নৌ-ফাঁড়ির দেয়া তথ্যমতে গত ১৩ দিনের অভিযানে ৩ কোটি মিটার কারেন্ট জাল ও ৩৫৬ কেজি মা ইলিশ জব্দ করা হয়। এসব অভিযানে মৎস্য আইনে ১৩টি মামলা করা হয়েছে। আর মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে ৫টি।
অপরদিকে চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিণাঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির গত ১৩ দিনের অভিযানে ৩৫ জন জেলেকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও ১কোটি ৯৬ লক্ষ ৫৭ হাজার ৬২৫ মিটার কারেন্ট জাল ও ১৭টি নৌকা জব্দ করা হয়। এসব অভিযানে মৎস্য আইনে ১২টি মামলা করা হয়েছে।
হরিণাঘাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট রয়েছি। মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের অভয়াশ্রম সফল করার লক্ষ্যে আমাদের নৌ পুলিশ সদস্যরা বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের মান্যবর পুলিশ সুপার স্যারের নেতৃত্বে এবং দিকনির্দেশনায় আমরা এসব অভিযান পরিচালনা করেছি। তিনি মা ইলিশ রক্ষায় জেলে, মৎস্যজীবী নেতা, জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
হাইমচর উপজেলার নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ২২ দিনের অভয়াশ্রম কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেটি বাস্তবায়নে নৌ-পুলিশের সকল ইউনিট অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভিযানে পরিচালনা করছি। অভয়াশ্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।