মানিক দাস // “এসো মিলি মুক্তির মোহনায়” এ স্লোগান কে নিয়ে ১৯৯২ সাল থেকে চাঁদপুরে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। এবছর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার গৌরবের ৩২ বছর। বিগত বছরগুলোর মতো এবছর চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম মাঠের মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। গত ৫ নভেম্বর থেকে বিজয় মেলার প্রস্তুতিমূলক সকল কাজের সূচনা করা হয়। মাঠ প্রস্তুতে শুভ সূচনার করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমাণ্ডার ও বিজয় মেলার চেয়ারম্যান যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।
চাঁদপুরের ঐতিহ্যবাহী মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে, তা চলবে পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়ে।তবে এ বছরসহ নতুন ভ্যানূ চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামের তৃতীয় বারের মতো বিজয় মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মেলা কে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে মেলা আয়োজক কতৃপক্ষ মাঠের কাজ শুরু করে দিয়েছেন । প্রায় ৬০ ভাগ কাজ ইতুমধ্যে শেষ হয়েছে। এবছর মেলার কার্যক্রম ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। তবে বিগত বছরের ন্যায় এবছরও ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত দিবসে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করা হবে।
বিজয় মেলা হলো চাঁদপুরবাসীর মিলন মেলা। শুধু চাঁদপুর জেলা নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও মানুষ ডিসেম্বর আসলে চাঁদপুরের বিজয় মেলায় ছুটে আসে। প্রতিদিন হাজারো মানুষের যেন মিলন মেলা ঘটে এই মেলায়।
প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে মেলার কার্যক্রম শুরু হবে। মেলা মঞ্চে থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ,
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক মঞ্চ নাটক।
এদিকে এবারের বিজয় মেলার বিষয় স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদের বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে মেলা শুরু হবে এবং আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে চাঁদপুর মুক্ত দিবসে অর্থাৎ ৮ ডিসেম্বর। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে এবারের মেলা কার্যক্রম আমরা শুরু করে দিয়েছি। যথাসময়ে মেলার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি। এজন্য সকলের সহযোগিতা ও চেয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহা সচিব হারুন আল রশিদ বলেন, এ বছর মেলার পরিধি অনেকটা কমে গেছে। এর মধ্যে মেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে মেলার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। প্রজম্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে আমরা গত বছরের মতো এ বছরও বড় আকার একটি প্যান্ডেল ও একটি চিত্র প্রদর্শনীর গ্যালারি তৈরি করছি। এই বিজয় মঞ্চে এ বছরও প্রায় শতাধিকের কাছাকাছি সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠন অংশগ্রহণ করে সাংস্কৃতিক ও নাট্যকর্মক কান্ড পরিচালনা করবে। ইতিমধ্যে সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠন গুলো ঘরোয়া ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এবছর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় প্রায় পৌনে দু শতাধিকের কাছাকাছি বাণিজ্যিক স্টল নির্মাণ করা হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের জন্য থাকবে ব্যাপক বিনোদনের ব্যবস্থা। বিগত বছর গুলোর মতো এ বছরও বিজয় মেলার নিরাপত্তার স্বার্থে মেলা মাঠের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।