মানিক দাস ।।“এসো মিলি মুক্তির মোহনায় ” এ স্লোগানকে নিয়ে চাঁদপুর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এ বছর গৌরবের ৩১ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিজয় মেলা মাঠের কাজ দ্রুত গতিতি চলছে। গত বছর ছিল স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ৩০ বছর।
এ বছর ৩১ তম বিজয় মেলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার কাজের তদারকি ও কাজের অগ্রগতি প্রতি নিয়ত পরিদর্শন করেছেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা ২০২১ এর স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি ও জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদ। নতুন ভ্যানু হিসাবে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয় মেলার প্রস্তুতি চলছে। ১৬ নভেম্বর কাজের অগ্রগতি সরজমিনে দেখতে যান বিজয় মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য শহিদ পাটোয়ারী, যুগ্ম মহা সচিব শরীফ চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন জনু, সাংস্কৃতিক পরিষদের সচিব মৃণাল সরকার, নাট্য পরিষদের সচিব এম আর ইসলাম বাবু,স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদের সম্বন্নয়কারী বদিউজরজামান বদি।তাছাড়া গত বছরের বিজয় মেলার মহা সচিব হারুন আল রশিদ ও মমঞ্চ ব্যবস্হাপনা পরিষদের সচিব মানিক দাস সকাল থেকে মাঠ প্রস্তুতের কাজের তদারকি করে যাচ্ছেন।
একটি সূত্র থেকে জানাগেছে, এবছরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় চাঁদপুর জেলা ও সদরের প্রায় অর্ধশতাধিক সাংস্কৃতিক ও নাট্য সংগঠন মাস ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপস্হাপনের জন্য প্রস্তিতি নিতে শুরু করেছে। স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদ বলেন, এবছরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় হবে স্মরন কালেন বিজয় মেলা। বিগত বছরের তুলনায় এবছর স্মরনীয় স্মৃতিচারন করা হবে।সেজন্য এখন থেকে দেশ বরেন্য মুক্তিযুদ্ধাদের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমরা চাই প্রজম্ম যেন স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। ইতি মধ্যে চাঁদপুর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা মেলা মাঠে বানিজ্যিক স্টল নেয়ার জন্য যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।
উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর মেলা মাঠের কাজের উদ্ধোধন করেন জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদ। ১৯৯২ সাল থেকে চাঁদপুরে মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা হয়ে অসছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এবছর স্মরনকালের স্মরনিয় বিজয় মেলায় রূপ দিতে সাবেক স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযুদ্ধা এম এ ওয়াদুদ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।