মানিক দাস // “এসো মিলি মুক্তির মোহনায়” এ স্লোগাকে নিয়ে ১৯৯২ সাল থেকে চাঁদপুরে শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা। এবছর মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার গৌরবের ৩২ বছর। চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়াম মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় মেলার কাজ প্রায় শেষের ।আগামী ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন চাঁদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযুদ্ধে কিংবদন্তি সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম।বিশেষ অতিথি থাকবেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার সাইকুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ওসমান গনি পাটোয়ারী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম দুলাল পাটোয়ারী,চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমাণ্ড চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি জাফর ইকবাল মুন্না। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় থাকবেন মুক্তিদের বিজয় মেলার মহাসচিব হারুন আল রশিদ।
এবছর মাস ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিবেশন করবে জেলা সদর উপজেলা ও চাঁদপুরের বাইরের প্রায় অর্ধ শতাধিকার ও বেশি সংগঠন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে উল্লেখযোগ্য সংগঠনগুলো হলো সম্মানিত সাংস্কৃতিক জোট, স্বদেশ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, নৃত্যাঙ্গন,বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদ, নতুন কুড়ি ক্রিয়া ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন, নিত্যধারা, সূরধ্বনি সংগীত একাডেমী, লতিকা নীতালয়, অনন্যা নাট্যগোষ্ঠী, জাগরন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, অরূপ নাট্যগোষ্ঠী,চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বহুবচন একাডেমী, নারায়ণগঞ্জ হাওয়াইন রিটার্ন পরিষদ, বর্ণচোরা নাট্যগোষ্ঠী, বঙ্গ সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠন,রংঙ্গের ঢোল,খেলাঘর আসর,চাঁদপুর মঞ্চ, স্বরলিপি নাট্যদল , শিশু একাডেমী, শোভা সঙ্গীতালয়, রংধনু সৃজনশীল নৃত্য সংগঠন, নিত্য প্রতিযোগিতা স্বপ্নকুড়ি সাংস্কৃতিক সংগঠন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী নাট্য বিভাগ, সংগীত প্রতিযোগিতা, স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান, সপ্তরূপা নৃত্যশীতালয়, পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি পুনাক, আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ,উদয়ন সংগীত বিদ্যালয়, চাঁদপুর ড্রামা, সারদা দেবীর সংগীত একাডেমী, চাঁদপুর বাউল শিল্পী গোষ্ঠী, মেঘনা থিয়েটার, মৃদঙ্গ, সঙ্গীত নিকেতন, ঝিলমিল সাংস্কৃতিক সংগঠন, অনুপম নাট্যগোষ্ঠী,রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদ,হরিজন শিল্পী গোষ্ঠী , নটমঞ্চ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান,অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক সংগঠন,মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ, সপ্তসুর সংগীত একাডেমি, সুরালয়, চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন, রক্সি মিউজিকাল ব্যান্ডসহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের বিভিন্ন গঠন এই মাস ব্যাপী বক্তৃতের বিচার মেলায় সাংস্কৃতি কর্মকান্ড পরিবেশন করবে।
বিজয় মেলার প্রস্তুতি ও সার্বিক বিষয় নিয়ে প্রতিনিয়ত খোজ খবর অব্যাহত দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার চেয়ারম্যান যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ।মহাসচিব হারুন আল রশিদ
ছাড়াও প্রতিনিয়ত মেলার কাজের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করছেন নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদ পাটোয়ারী, সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক তপন সরকার, নির্বাহী সদস্য শরীফ চৌধুরী,সাংস্কৃতিক কমিটির সদস্য সচিব এম আর ইসলাম বাবু, মঞ্চ ও অনুষ্ঠান পরিষদের আহ্বায়ক মানিক দাস, স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক মনির হোসেন মান্না, সদস্য সচিব অভিজিত রায় সহ বিজয় মেলার সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে চাঁদপুর ও দেশের বাইরের দোকানিরা বিজয় মেলা মাঠে আসতে শুরু করেছে। তারা তাদের স্টল গুলো নিজস্বভাবে সাজানো-গোছানোর কাজও শুরু করে দিয়েছে। কে কত সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করতে পারে সেই প্রতিযোগিতা যেন চলছে দোকানিদের মাঝে। থ্রি পিস, মিনি কুকারিজ, ইমিটেশন, কালার কসমেটিক্স, বাচ্চাদের খেলনাসামগ্রী দোকান, মুখরোচক আচার, পিঠা নিমকি মুরালিসহ বিভিন্ন প্রসাধনীর স্টল এবছর ৩২ তম বিজয়া মেলা মাঠে স্থান পেয়েছে। তাছাড়া বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য রাইটস্ মাঠে স্থাপন করা হচ্ছে।