মানিক দাস // চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী জেলা সাংস্কৃতিক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তৃণমূল মানুষের জন্য শিল্প সংস্কৃতি শীর্ষক অনুষ্ঠানের জেলার ৮ উপজেলার শিল্পীদের নিয়ে
সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ জুন সোমবার সন্ধ্যা ৭ টায় আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক বশির আহমেদের সভাপতিত্বে ও এমআর ইসলাম বাবুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলার ৮ টি উপজেলার শিল্পীদের শুভরচরছা। আজকে এ অনুষ্ঠানটি করা ঠিক হয়নি। অনেকেই ঈদের ৫ দিনের ছুটিতে বাড়ি যাবে। কিন্তু এ উৎসবের জন্য যেতে পারছেনা। মুসলিমদের সংস্কৃতি হলো সেটি মসজিদে নামাজ পড়া, আর হিন্দুদের সংস্কৃতি হলো দেবির সামনে বসে আরাধনা করা। সনাতন ধর্মের কথা বলতে গেলে সংস্কৃতি হলো ঢোল বাজানো, এটা তাদের সংস্কৃতি। আমাদের মুসলিম ধর্মে ঢোল বাজানো নিষেধাজ। যারা বানরের খেলা দেখায় তারা পায়ে ঘুঙ্গুর বেধেঁ খেলা দেখায়। এটা তাদের সংস্কৃতি। আমরা ছোট বেলায় কচিঁ আম পাতা আর নারকেল পাতা দিয়ে বাশিঁ বানিয়ে বাজাতম। এটাও একটা যন্ত্র সংগীত ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছে।শেখ হাসিনা তাই নিয়ে কাজ করছে। যদি প্রতিটি সিটিজেন স্মাট হয় তাহলে আমরা সবাই স্মাট হবো। আমাদের সোসাইটি স্মাট হবে। সোনার বাংলাদেশ হবে স্মাট বাংলাদেশ। আর স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তুলতেই এই সাংস্কৃতিক উৎসব। রবীন্দ্র সংগীতে যে সূর তা এখন রিমিক্স করে গাওয়া হচ্ছে। আমরা জানিনা সেটা কি রবীন্দ্র সংগীত না কি অন্য সংগীত। রবীন্দ্র সংগীতকে বাঁচিয়ে রাখতেই এ সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন ।
এসময় শিল্প সংস্কৃতি ও যন্ত্র সংগীত নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন ডাঃ পিযুষ কান্তি বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কালচারাল অফিসার দিতি সাহা।সব শেষে বিভিন্ন উপজেলা শিল্পকলা কে ক্রেস্ট ও প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে বিজয়ীদের মাঝে উপহার এবং সনদ পত্র বিতরন করা হয়।