আলমাস হোসেনঃ ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
বাসে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতার ঘটনায় আশুলিয়া থানায় বিএনপির ৬২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি ও সাভার মডেল থানায় ৪৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্ত বাসচালক ও বাকি দুটির পুলিশ। আলাদা তিন মামলায় ১০৫ জনসহ অজ্ঞাত আরো বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
সাভার মডেল থানা ও আশুলিয়া থানা পুলিশ জানায়, শনিবার রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না থাকায় তাদের কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। শনিবার বেলা দুইটার দিকে আমিনবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের অদূরে মেসার্স শাহ আলম ফিলিং স্টেশনের সামনে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি কাগজের ব্যাগ খুঁজে পায়। ব্যাগের ভেতরে তারা লাল স্কচটেপে মোড়ানো ছয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু দেখতে পায়। ওই ঘটনায় রাতেই সাভার মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে ৪৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বিকাশ পরিবহন নামের একটি বাসের জানালা ও সামনের কাচ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এসময় আরও বেশ কয়েকটি বাস ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় রাতে ভুক্তভোগী বাসের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ঢাকা জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব খান, আশুলিয়া থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি রকি দেওয়ান, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান মোহন, ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রদলের আহ্বায়ক তমিজ উদ্দিন, ঢাকা জেলার বিএনপির আহ্বায়ক মোকলেছুর রহমান খান ইলিয়াস শাহীসহ ৩২ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এছাড়া পৃথক ঘটনায় আশুলিয়ার বড় রাঙ্গামাটিয়ার রসায়ন মোড়ে বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দেওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান দেওয়ান, আনোয়ার সরকার, মোক্তার হোসেন মন্ডল, দেলোয়ার হোসেন সরকার, ফজলুল হক, আমিনুল ইসলাম, আরজু দেওয়ান, মান্নান দেওয়ানসহ ৩০ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আমিনবাজারে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ৪৩ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে। আসামিরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, আশুলিয়ায় পৃথক দুটি স্থানে বাস ও অটোরিকশা ভাঙচুর ও রিকশা পোড়ানোর ঘটনায় পৃথক দুটি মামলায় ৬২ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।