আলমাস হোসেন: ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
ঢাকার সাভারে হকার থেকে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়া নুরু ওরফে প্রতারক নুরুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) দুপুরে সাভার বাসষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ ।
স্থানীয়রা জানান, ফুটপাতে এক সময় করতেন হকারী। কখনো শাক-সবজী, কখনো বা মাছ বিক্রি করে কোন মতে চলতো সংসার। সেই নুরু এখন কোটিপতি। সাভারের চাপাইন এলাকায় করেছেন বাড়ি। নিজ গ্রামে কিনেছেন কয়েক বিঘা জমি। তার এমন উত্থানে হতবাক হকার্সরাও। কিভাবে আলাদিনের চেরাগ হাতে পেলেন নুরু? এমন প্রশ্নই এখন অনেকের মুখে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নুরু সাভার মডেল থানায় প্রতারণাসহ কয়েকটি মামলার আসামি। জাল কাগজপত্র দিয়ে তদবির ও প্রভাবশালীদের নাম ভাঙিয়ে নিরীহ মানুষদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ই তার মূল পেশা। কখনো সাংবাদিক, কখনো রাজনৈতিক নেতা আবার কখনো বা প্রশাসনের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে তার প্রতারণা। এভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নুরু সর্বনাশ করেছেন অনেক নিরীহ হকারদের। সাভার মডেল থানার তালিকায় একজন প্রতারক ও বিভিন্ন মামলার আসামি নুরু। আবারো আলোচনায় আসলেন সাভার বাসষ্ট্যান্ডের এক ব্যবসায়ীকে হুমকির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে।
রাজ্জাক কাঁচা বাজারের মের্সাস শিহাব স্টোরের মালিক ইসরাফিল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি নুরু আমার কাছ থেকে নগদ ২ হাজার টাকা ও ১ হাজার টাকার চাল বাকীতে নেয়। সেই টাকা চাইলে আমাকে ভয়ভীতি দেখায়। নুরু তাকে হুমকি দিয়ে বলে- আমাকে চিনিস? সাভারে আমার ক্ষমতা সম্পর্কে জানিস? জনৈক প্রভাবশালী সাংবাদিক নাকি তার পকেটে থাকে। এসব বলে কর্মচারীদের সামনেই আমাকে মারতে উদ্যোত হয়।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী। যোগাযোগ করা হলে সাভার মডেল থানার এসআই রাজীব সাহা জানান, নুরুর বিরুদ্ধে এর আগেও পুলিশের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার অভিযোগে মামলা রয়েছে। সেই মামলায় জামিনে বেরিয়ে আবারো প্রতারণায় ফিরে গেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, এই প্রতারকের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।