কচুয়া প্রতিনিধি ॥
কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক জায়গা থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের হিড়িক লেগে গেছে। স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিষ্ক্রিয় থাকায় ড্রেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীদের কারণে হুমকির মুখে পড়েছে বিপুল সংখ্যক ফসলি জমি।
এতে করে কৃষি জমি নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে অনেক কৃষক। এছাড়াও দিন দিন ভূখন্ডের ভারসাম্য হুমকির মুখে রয়েছে। ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ ও কৃষি জমি রক্ষায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী।
গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের বরুচর- কড়ইয়া ফসলি মাঠে কাউছার আহমেদ নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কৃষি জমি নষ্ট করে বালু বিক্রি করে আসছেন। এছাড়াও তেতৈয়া,ঘাগড়া- দোয়াটি ফসলি মাঠে ১০টি। সাচার ইউনিয়নের রাগদৈল- বজরীখোলা মাঠে ৫টি,বায়েকের মোড়ে ১টি, বায়েকের মোড়ের পশ্চিম পাশে ১টি,শুয়ারুল ক্ষিরাইনদী পাশে ৩টি। বিতারা ইউনিয়নে দুর্গাপুর-উভয়পাড়া ঘুগড়াবিলে ৫টি, বাইছারা মাঠে ৫টি। পালাখাল মডেল ইউনিয়নের বাছাইয়া ব্রিকফিল্ডে ১টি,দোয়াটি ২টি, আইনপুর-শংকরপুর মাঠে ৪টি, ভূইয়ার মাঠে ১টি । কড়ইয়া ইউনিয়নের নলুয়া হিন্দুবাড়ীর ও সাহেদাপুর মাঠে ২টিসহ কচুয়ার একাধিক স্থানে অর্ধশতাধিক অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কৃষি জমি নষ্ট করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন ভূমি দস্যুরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক জানান, এলাকাবাসী বেশ কয়েকবার এভাবে বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলেও কোন কাজ হয় না। বরং তারা থানার পুলিশ ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসকে ম্যানেজ করে উল্টো কৃষি জমির মালিকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করে বালু বিক্রি করছেন। কৃষি জমি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী অসহায় কৃষকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি ) ইবনে আল জায়েদ হোসেন বলেন, উপজেলায় কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তথ্য পাওয়া মাত্র তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। অবৈধ ড্রেজারে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।