আলমাস হোসেনঃ ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
ঢাকার আশুলিয়া থেকে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ১৬ দিন আটকে রাখেন সাবেক এক অংশীদার। পরে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নোয়াখালী থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী আরিফ খানকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে গ্রেপ্তার মূল আসামি আমজাদ হোসেন মামুনকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, বুধবার অপহৃত ব্যবসায়ীকে অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন মামুনের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর কবিরহাট থানার উত্তর লামছি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় গ্রেপ্তার করা হয় আমজাদ হোসেনকে। তবে এ ঘটনায় অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে আরো একজন পলাতক রয়েছেন। এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায়।
গ্রেপ্তারকৃত আমজাদ হোসেনের (৩৫) গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায়। অন্য আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলার আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩২) ও অজ্ঞাতপরিচয় তিন-চারজন।
অপহৃত ব্যবসায়ী আরিফ খানের (৩২) গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার দৌলতপুরে হলেও তিনি আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর ব্যবসার কথা বলে পূর্বপরিচিত ও ব্যবসার অংশীদার আমজাদ হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো দুজন আরিফ খানকে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যান। সেখান থেকে জোর করে অপহরণ করে তাকে নোয়াখালীর কবিরহাটে আমজাদ হোসেনের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে তার কাছে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন। এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার তার কোনো খোঁজ না পেয়ে আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। সেই সূত্র ধরে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে তাদের দুজনের অংশীদারত্বে আশুলিয়ায় খান হেভি লিফটার নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যন্ত্রাংশ ভাড়ার ব্যবসা ছিল।
এ বিষয়ে এসআই ভজন চন্দ্র রায় জানান, তাদের মধ্যে ব্যাবসায়িক সম্পর্ক ছিল। তারা পূর্বে ব্যবসায়িক অংশীদার ছিলেন। আমজাদ হোসেন পাওনা টাকা দাবি করে আরিফকে তুলে নিয়ে যান। তবে আরিফ খানের দাবি, পাওনা টাকা আগেই পরিশোধ করেছেন তিনি। তবে দেনা-পাওনা যা-ই হোক, কাউকে এভাবে অপহরণ করে তুলে নিয়ে আটকে রাখার কোনো সুযোগ নেই। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।