মানিক দাস // শুভ বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। এ দিন মা দূর্গা মত্য ছেড়ে ফিরে যান স্বামীর গৃহ কৈলাশে। ছিল শুধুই বিসর্জনের পর্ব। ভক্তদের কষ্ট দূর করতে দেবী দূর্গা এবছর আসেন ঘোড়ায় চরে। কৈলাসে ফিরেন একই বাহনে চরে।
পুরান মতে বিজয়া দশমীর অন্যতম হলো দেবী বরণ। রীতিনুযায়ী সদবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন সিঁদুর, পান, মিষ্টি নিয়ে দেবীকে ছোঁয়ান, হিন্দু বিবাহিত নারীদের জন্য সিঁদুর গুরুত্ব পূর্ন অংশ। স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা সিঁদুর পরেন। শাঁখা সিঁদুরে স্বামীর মঙ্গল হবে এই বিশ্বাসে সিঁদুর নিয়ে দশমী উদযাপন করেন তারা। বিবাহিত নারীরা সিঁদঁরের কিছু অংশ দিয়ে দেবীর চরন স্পর্স করে থাকেন। তারপর একে অপরকে সিঁদুর দিয়ে রাঙ্গিয়ে থাকেন। পরের বছর যেন মা দূর্গা যেন শাঁখা সিঁদুর নিয়ে আসেন। মায়ের চরন স্পর্স করার পর সেই সিঁদুর নারীরা প্রথমে পরেন।

এভাবে সিঁদুর পরিয়ে বিজয়া দশমীর দিন দেবী দূর্গাকে মত্যলোক থেকর এক বছরের জন্য স্বামীর বাড়ি কৈলাসে পাঠানো হলো। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চাঁদপুর শহরের কালিবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গন থেকে আনন্দ শোভাযাত্রার সূচনা করা হয়। শোভাযাত্রায় আরো অংশ গ্রহন করে কালিবাড়ি মন্দিরের, গোপাল জিউর আখড়া, কদমতলা অকালবোধন সংঘ,গুয়াখোলা দূর্গা মন্দির, ঘোষ পাড়া পূজারী বৃন্দ, মেথা রোড পূজারী বৃন্দ,প্রতাপ সাহা রোড লোকনাথ মন্দির, মঠখোলা শিব বাড়ি মণ্ডপ, স্বর্ণখোলা হরিজন পল্লী,ডগলাইন হরিজন পল্লী,পুরান বাজার দাস পাড়া প্রভাতি সংঘ,তাছাড়া পুরান বাজার এলাকার অধিকাংশ প্রতিমা গুলো স্ব স্ব এলাকায় বিসর্জন দেয়া হয়।

আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিসর্জন ঘাটে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপিএম পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদিপ্ত রায়, পৌর মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ,উপদেষ্টা অজয় কুমার ভৌমিক, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিণয় ভূষণ মজুমদার, সাধারন সম্পাদক ও পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা জম্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি গোপাল সাহা,জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ মালাকার,সাধারন সম্পাদক কার্তিক সরকার,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি তপন সরকার, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মন চন্দ্র সূত্রধর,প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়, মহিলা সম্পাদিকা মাধুরী সাহাসহ পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সকল সদস্য।