ঢাকার আশুলিয়ায় তুরাগ নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডে ডাকাতি করতে এসে ব্যবহৃত ট্রলার বিকল হয়ে তিন ডাকাত আটক হয়েছে। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা আরো দুই ডাকাত নদী সাঁতরে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাদের আটকের পর গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রলার, চাপাতি ও রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) ভোর রাতে আশুলিয়ার তুরাগ নদের পাড়ে পরিত্যক্ত রচনা ইট খোলা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো, পাবনার সাঁথিয়া থানার আটিয়াপাড়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (২২), শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার পন্ডিসা গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে বাবু (২৫) ও পটুয়াখালীর সদর থানার সারিরখালী গ্রামের শাহ আলমের ছেলে আসলাম (২৬)। বর্তমানে তারা গাজীপুর ও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে আসছে। এ ঘটনায় ডাকাত দলের দুই সদস্য নান্নু ও রানা নামে দুইজন পলাতক রয়েছে। আশুলিয়া থানার এসআই আরাফাত উদ্দিন বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আশুলিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, শুক্রবার ভোর রাতে একদল ডাকাত তুরাগ নদীতে ট্রলার নিয়ে একটি বাল্কহেডে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আসে। এসময় তারা ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে নগদ অর্থ নিয়ে পালানোর সময় তাদের ট্রলারের ফ্যানটি ভেঙ্গে যায়। পরে তিন ডাকাতকে আটক করে গণধোলাই দেয় ভুক্তভোগীসহ স্থানীয়রা। তবে আরও দুই ডাকাত পানিতে লাফিয়ে পরে সাঁতার কেটে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। তারা নদীতে থাকা জেলে, বালুর ট্রলার ও নদী তীরবর্তী এলাকায় বিভিন্ন সময় ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, এই চক্রটি এখানে আগের কোনো ডাকাতির ঘটনায় জড়িত কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পালিয়ে যাওয়া বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।