নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনির আসনে এবার দলের মনোনয়ন চেয়ে ফরম জমা দিলেন চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূইয়া। বিষয়টি বুধবার রাতে ক্রাইম এ্যাকশন২৪কে নিশ্চিত করেছেন শামছুল হক ভূঁইয়া নিজে ।
মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন। এ নিয়ে ড. শামছুল হক ভূঁইয়া চাঁদপুর-৩ ও চাঁদপুর-৪ আসনসহ ২টি আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেন। চাঁদপুরে সাবেক-বর্তমান অনেক মন্ত্রী-এমপি এবং কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা থাকলেও একমাত্র শামসুল হক ভূঁইয়া দুই আসনে মনোনয়ন চাইলেন।
নীতিমালায় একাধিক দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহের সুযোগ থাকলেও বিষয়টি নিয়ে হতাশা ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে শামছুল হক ভূইয়ার নিজ বলয়ের চাঁদপুর-৪ ফরিদগঞ্জ আসনের দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। গুঞ্জন উঠেছে চাঁদপুর-৪ নিয়ে ভাবছেন না তিনি! কেউ কেউ বলছেন, এই আসনটি ছাড়তে চাচ্ছেন তিনি। তা না হলে চাঁদপুর সদর-হাইমচর মিলে সংসদীয় আসনে মনোনয়ন নিয়ে প্রচেষ্টা করবেন। এছাড়াও চাঁদপুর-৩ আসনের মনোনয়ন সংগ্রহ করা’ই তার প্রমাণ বহন করছে আগামীর ফরিদগঞ্জ নিয়ে তিনি ভাবছেননাসহ নেতিবাচক অনেক কথা যুক্ত হচ্ছে তাদের হতাশার ঝুড়িতে।
হঠাৎ করে কেন চাঁদপুর-৪ আসেনর পাশাপাশি চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. শামছুল হক ভূইয়া বলেন, আমি যে কোন আসন থেকেই নির্বাচন করতে আগ্রহী। চাঁদপুর-৪ আসনের পূর্বে ২০০১ সালে দলীয় প্রতীকে চাঁদপুর-৩ আসনে নির্বাচন করেছি। কিন্তু ওই নির্বাচনে ষড়যন্ত্রের কারণে পাশ করিনি বলে দাবী করেন তিনি। এরপর দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চাঁদপুর-৪ আসনে সংসদ সদস্য হয়েছে বলেও দাবী তার। তিনি বলেন, এখন প্রধানমন্ত্রী আমাদের নেত্রী যেখানে আমাকে দিবেন, আমি সেখানেই নির্বাচন করবো। চাঁদপুর-৪ আসনে অনেক মনোনয়ন ফরম জমা পড়েছে। নেত্রী এখন নির্ধারণ করবেন কোথায় নির্বাচন করবো। যদি চাঁদপুর-৪ আসনে দেয় সেখানে নির্বাচন করবো অথবা যদি চাঁদপুর-৩ আসনে দেয় আমি সেখানেই নির্বাচন করবো অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন তিনি। শামছুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি ছিলাম। এখন যারা চাঁদপুর-৩ আসনে মনোনয়ন চান, আমি তাদের আগে থেকেই এই আসনে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করেছি।