স্টাফ রিপোর্টার
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চাঁদপুর জেলায় নৌকার মাঝি হতে চান ৫২ প্রার্থী। তবে তাদের মধ্যে থেকে চুরান্তভাবে দলের মনোনয়ন পাবেন মাত্র ৫জন। যারা চাঁদপুরের ৫টি নির্বাচনী আসনে নৌকা নিয়ে নির্বাচন করবেন। সেই ভাগ্যবানদেন নাম আজ অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
এদিকে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও জমা দেয়া হয়েছে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। তারমধ্যে চাঁদপুর জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে জন্য ৫২জন প্রার্থী নৌকা প্রতীকের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম উত্তোলনসহ জমা দেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। জাতীয় সংসদের ৩শ’ আসনের বিপরীতে নৌকা প্রতীকের জন্য সারাদেশ থেকে ৩ হাজার ৩শ’ ৬২জন প্রার্থী আবেদন করে বলে দলটি সুত্রে জানা গেছে।
চাঁদপুর জেলা আ’লীগের একটি সুত্র বলছে, জেলার ৫টি আসনে সম্ভাব্য নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হলেন- চাঁদপুর-১ (কচুয়া) বর্তমান সংসদ সদস্য ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, এনবিআরে’র সাবেক চেয়ারম্যান মো. গোলাম হোসেন, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, আইইবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহাদাত হোসেন শিবলু, অব. জজ আমিনুল ইসলাম ও অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন টিটু।
চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর ও দক্ষিণ) সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. নুরুল আমিন রুহুল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, মতলব উত্তর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মন্জুর আহমেদ, অ্যাড. জেসমিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় আ’লীগের উপ কমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসান, জাকিয়া সুলতানা শেফালী, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খোকা পাটোয়ারী, রেল শ্রমিক লীগ নেতা অ্যাড. হুমায়ুন কবির, নায়েমের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. লোকমান আহমেদ।
চাঁদপুর-৩ ( সদর ও হাইমচর) আসনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি, কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, সাবেক সংসদ সদস্য ড. শামছুল হক ভূঁইয়া, জেলা আ’লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, সাবেক ছাত্র নেতা জাকির হোসেন মারুফ ও মৎস্যজীবী লীগের নেতা রেদোয়ান খান বোরহান।
চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ শামসুল হক ভূঁইয়া, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. হারুন অর-রশিদ সাগর, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, প্রবাসী আ’লীগর নেতা জালাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মহিউদ্দিন মজুমদার খোকা, হারিছ হাসান সাগর, উপজেলা আ’লীগ নেতা আমির আজম রেজা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া, হাসানুজ্জামান তারেক, আওয়ামী লীগ নেতা মুকবুল আহমেদ, ডা. বদরুন নাহার ভূঁইয়া, উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি নাজমুন্নাহার অনি, হকার্স লীগ নেতা লিয়াকত হোসেন রনি, চিকিৎসক ডা. মোস্তফা হোসেন ও এমরান চৌধুরী।
চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. নুর জাহান মুক্তা, কেন্দ্রীয় আ’লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মামুন আলম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, জেলা আ’লীগে নেতা শফিকুর রহমান, উপজেলা আ’লীগ নেতা অধ্যক্ষ এমএ আউয়াল মজুমদার, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী মো. মাঈনুদ্দিন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা সফিউল আলম ফিরোজ, কেন্দ্রীয় সেচ্ছা সেবক লীগ নেতা অ্যাড. ফরিদ উদ্দিন ও ব্রিগেডিয়ার অব. সালাউদ্দিন।
তবে জেলা আ’লীগের একটি সুত্র বলছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেকেই প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আবার অনেকে কারো কারো ডামী হিসেবে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা দলীয় ফোরামে পঁছন্দের প্রার্থীর প্রতি সমর্থন জানিয়ে নিজকে প্রত্যাহার করবেন। আবার অনেকে আগামির জন্য নিজের অবস্থানকে জানান দিতে ভোটে মাঠে থাকার চেষ্ঠা করলেও প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় দলীয় নির্দেশনায় প্রত্যাহার করবেন।
আবার কেউ কেউ বলছেন, অতীতের তুলনায় এবার প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারন নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে মাঠ পর্যায়ে অপরিচত কিছু নতুন মুখ স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে থেকে যাবেন। যাতে নির্বাচন প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ন ও অংশগ্রহণমুলক হয়।