মানিক দাস // আপন বিয়াই কর্তৃক অপহরন তরুণীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে গত ৬ নভেম্বর স্কুলে যাবার পথে অপহরন করে নিয়ে যায় নাঈম হোসেন (১৮) নামের এক যুবক ও তার সহযোগিরা। এ বিষয়ে অপহৃতার মা শাহিনা বেগম গত ১৩ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/ ২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় নাঈম হোসেন কে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
মামলার ঘটনার বিবরনে জানাযায়,অপহরনের স্বিকার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শান্তা আক্তার (১৪) গত ৬ নভেম্বর সকাল অনুমান ১০ টার দিকে চাঁদপুর সদরস্থ নিজ বাড়ী পাইকাস্তা
হতে বের হয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে মজুমদার বাড়ীর সামনে পৌঁছলে আসামী নাঈম ও অজ্ঞাতনামারা শান্তাকে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত মামলাটি পিবিআই চাদঁপুরকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।তদন্তকালে জানা যায় এজাহারনামীয় আসামী ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামিরা শান্তা আক্তার(১৪)কে জোরপূর্বক অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে আত্মগোপন করে।পিবিআই চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে পিবিআই চাঁদপুরের একটি বিশেষ টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার ১ মাস পরে গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার দক্ষিণ খান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রাত অনুমান দেড়টায় ভিকটিমকে আসামী মোঃ নাঈম (১৮) এর ভাড়াকৃত বাসা হতে উদ্ধার করে।৬ ডিসেম্বর ভিকটিমের সম্মতিক্রমে তার ডাক্তারী পরীক্ষাশেষে তাকে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মোতাবেক ভিকটিমের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে তার মায়ের জিম্মায় প্রদান করেন।মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।