মানিক দাস ।। ভারত সরেকারের আমন্ত্রণে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক বিজয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গে গিয়ে চাঁদপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুাক্তযোদ্ধা লেঃ (অব:) এম এ ওয়াদুদ সংবিধিত হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের কলকতার ফোর্ট উইলিয়ামে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে ৩০ সদসস্যের প্রতিনিধি টিমের দলপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এম এ ওয়াদুদ। ভারত সরকারের আমন্ত্রনে ১৪ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি ভারতে অবস্থান করে চাঁদপুরে ফিরে আসেন।
গতকাল ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার পক্ষ থেকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুাক্তযোদ্ধা লেঃ (অব:) এম এ ওয়াদুদকে সংবিধিত করা হয়। সংবেদনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি।

এসময় তিনি বলেন, এইযে এই যে বিজয় মেলা এটি চাঁদপুরের ঐতিহ্যের অংশই হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরম ভালোবাসায় বীরশ্রেষ্ঠদের চাঁদপুরের এর পরিচয় ইলিশের বাড়ি সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। এটি একটি চাঁদপুরের বিজয় মেলা একটি জমজমাট মেলা। পরিবারের সদস্যরা এবং ছোট ছোট শিশু কিশোররা মেলায় এসেছেন। এটা একটা আনন্দের বিষয়। মাস ব্যাপী এ বিজয় মেলা সকলেই আনন্দ উপভোগ করে। যারা বিকেলে স্টল সাজিয়েছে সেসব ব্যবসায়ীদেরকেও আমি ধন্যবাদ জানাই। চাঁদপুর তিন নির্বাচনী এলাকা সদর এবং হাইচরবাসীর কাজ করার যে সুযোগ আপনারা আমাকে করে দিয়েছেন বলেই আপনাদের পাশে থেকে উন্নয়নে কাজ করতে পেরেছি। গজারিয়া নদীতে যে ব্রিজ হচ্ছে তাতে চাঁদপুর ঢাকার দূরত্ব অনেকটা কমে আসবে। এখন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সময় কোন সুযোগ নেই। আমি প্রধান বৈঠক করেছি নারীদের সাথে আমি তাদেরকে জিজ্ঞেস করেছি আপনাদের এমপি পির কোন বদনাম হয়েছে, তারা বলেছেন না আমাদের এমপির কোন বদনাম নেই। সবাই বলেছে আমরা আপনাকেই চাই। আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর স্বারক নৌকা, স্বাধীনতার স্বারক নৌকা, শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয় করবেন দেশের উন্নয়নে। আপনার হলেন আমার প্রাণ শক্তি। আপনাদের দীপু মনি কে নৌকায় ভোট দিয়ে আপনাদের কাজ করার সুযোগ দিবেন। নৌকায় সত্য নৌকায় স্বাধীনতা নৌকায় মর্যাদা। নৌকায় গণতন্ত্র নৌকায় মানবাধিকার। সেই নৌকায় আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা ভোট দিবেন।
অনুভূত ব্যাক্ত করেন (অব:) এম এ ওয়াদুদ। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মালামাল মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাহক অব্যাহত রাখতে পারি। আমাকে সংবর্ধিত করার জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমার পরিবারের সকল সদস্যদেরকে নিয়েই আমি এই অনুষ্ঠানে এসেছি। জীবনকে বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে এ দেশ স্বাধীন করেছি। প্রয়োজনে আবারো রক্ত দিব তবুও এ দেশ থেকে অগ্নি সন্ত্রাস দূর করবো।একাত্তরে হানাদার বাহিনী কি এ দেশ থেকে যেভাবে বিতাড়িত করেছি বর্তমান বাংলাদেশ থেকে আমরা বিতাড়িত করব। এই অগ্নি সন্ত্রাস কারীদেরকে প্রয়োজনে আমরা বঙ্গোপসাগর দিয়ে ভাসিয়ে দেব। আরেকটি স্বাধীন যুদ্ধের মত আরেকটি যুদ্ধ করব তবু এদেশে শেখ হাসিনা নেতৃত্বে রাষ্ট্র গড়ে তুলবো। তবু আর কোন ধরনের অগ্নিসন্ত্রাস বাংলার মাটিতে হতে দেব না ।
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার মৃনাল কান্তি সাহার সভাপতিত্বে ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার মহাসচিব হারুনাল রশিদের সঞ্চালনায়।
আরো বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী।
আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল,ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান,
পিপি অ্যাডঃ রঞ্জিত রায় চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠান, সাহাদাত হোসেন সাবু পাটোয়ারী, সিরাজুল ইসলাম বরকন্দাজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস সহ আরো অনেকে।