২৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় চাঁদপুর শহরের চিত্রলেখা মোড় সংলগ্ন সিংহপাড়াস্থ চাঁদপুর জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও চাঁদপুর ৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আজম খানের বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার স্বিকার আজম খান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা প্রতিপক্ষের লোকেরাই আমার, দলীয় নেতা কর্মী ও বাসভবনে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে। দুপুর ১১ টা ৫৫ মিনিটের সময় আমি বিকট শব্দ শুনতে পাই। দ্রুত নিচে নেমে গিয়ে দেখতে পাই বাসার গেইট ভাংচুর করছে। আমার শরীরে ইট নিক্ষেপ করে। নেতা কর্মীদের রক্তাক্ত করেছে। এরপর তারা চলে যায়। কিছু সময় পর আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে এসে গাড়িসহ আমরা বসত গৃহে ভাংচুরের তান্ডব চালায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজম খান বলেন, আমি বেগম খালেদা জিয়ার ও ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করছি। আমি যেহেতু জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আমি দলকে সুসংঘটিত করতে কাজ করছি। আমি কখনো মনোনয়ন প্রত্যাশা করিনা, আমি দলের জন্য কাজ করছি। দল যাকে মনোনয়ন দিবে আমি ধানের শীষ প্রতীকের জন্য কাজ করে যাবো। দেশে যেহেতু এখন আওয়ামী লীগ নেই তাহলে আমি বলবো আমার প্রতিপক্ষই এ হামলা চালিয়েছে।
তিনি জানান, আমান সমর্থিত প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে শেখ নয়ন ও মোহাম্মদ আলীমসহ ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের কয়েকজনকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুপুরের পর তারেক রহমানের ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে থাকা নেতা কর্মীদেরকে বাবুরহাটে বাঁধা দেয়া হয়। তার চারটি বাস ভাঙচুর করেছে।
এদিকে সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে করেন আজম খান। এ সময় তিনি জানান, কিছু কিশোর-যুবক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে হঠাৎ করে দুই দফা বাড়িতে হামলা করে। তারা ভাঙচুর করে বাড়ির ভেতরের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিস। এ সময় অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।
তিনি দাবি করেন, জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সেলিমউল্লাহ দুই দফা মিটিং করে ছাত্রদল ও যুবদলের কিছু নেতা–কর্মীদের দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে। তার বাড়িসহ আজকে বিভিন্ন স্থানে হালমার ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই থানা-পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।