শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের নেতৃবিন্দরা বলেন, আমরা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় অনুমোদিত, স্বাস্হ্য অধিদপ্তর, স্বাস্হ্য শিক্ষা ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টগণ। আমরা স্বাস্থ্য সেবায় রোগ নির্ণয় ঔষধ ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ সেবা দান কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত। স্বাস্থ্য সেবা একটি “টিম ওয়ার্ক” যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক ও নারীদের পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টগন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন।
তারা আরো বলেন, ডিপ্লোমা কোর্সধারীর মধ্যে ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, ডিপ্লোমা নার্স, এবং ডিপ্লোমার কৃষিবিদরা ইতিমধ্যে ১১ গ্রেড হতে দশম গ্রেডে উন্নীত করেছে উল্লেখ্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ১৯৯৪ সাল, ডিপ্লোমা নার্স ২০১১ সাল এবং অনুরূপভাবে ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা ২০১৮ সালের দ্বিতীয় শ্রেণীর (দশম গ্রেড) কর্মকর্তার পদমর্যাদায় উন্নত করা হয়।
সমশিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অতীব পরিতাপের বিষয় ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ন্যায্য অধিকার দশম গ্রেড দাবিটি আজও বাস্তবায়িত হয়নি।স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এ পেশার পথ চলা শুরু হলে ১৯৮৯ সাল পরবর্তী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পেশাজীবীদের দাবিটি অব্যাহতভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে বারংবার উপস্থাপিত হয়ে আসছে। কিন্তু বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দিতে হয়নি।
এসব বিষয় তুলে ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজি ও ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট এর ১১তম গ্রেড হতে দশম গ্রেডে উন্নতকরণের দাবিতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা ও সাধারণ কাদের পলাশের হাতে স্বরকলিপি প্রদান করেন। এসময় চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবদুল মালেক , মোঃ ফয়েজ আহমেদ, খান মোঃ রিয়াজ, মোঃ নাজির আহমেদ, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ মনির হোসেন, শুভা রানী সরকার, রতন চন্দ্র, মদন চন্দ্র সাহা, ফার্মাসিস্ট সবুজ চন্দ্র সরকারসহ আরো অনেকে।