ইসমাইল হোসেন বিপ্লব কচুয়া ॥
কচুয়া উপজেলার ১৮নং শিলাস্থান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২০৫ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে মাত্র দুজন শিক্ষক দিয়ে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিদ্যালয় থেকে উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার। দাপ্তরিক কাজে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাসির উদ্দিন শিক্ষা কার্যালয়ে যেতে হলে ওই দিন সহকারী শিক্ষক ফাতেমা হক একাই শিশু শ্রেণিসহ ছয়টি শ্রেণির পাঠদান করাতে হয়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, বিদ্যালয়ের ৭জন শিক্ষকের পদ থাকা সত্বেও কর্মরত রয়েছে মাত্র ৫ জন শিক্ষক। ২ জন শিক্ষক ডিপিএড প্রশিক্ষণে ও উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ১জন প্রশিক্ষণ আসেন। বর্তমানে আমি ও সহকারী একজন শিক্ষিকা দিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান পরিচালনা করে আসছি।
বিদ্যালয়ের কয়েকজন অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দাপ্তরিক কাজে উপজেলা কার্যালয়ে গেলে শিশু শ্রেণিসহ ছয়টি ক্লাস সহকারী শিক্ষক ফাতেমা হক একা সামলাতে হয়। যে শ্রেণিতে তিনি থাকেন সেখানে ক্লাস হয়, বাকিগুলোতে চিৎকার চেঁচামেচিতে সময় পার হয়। ফলে শিক্ষককেও হিমশিম খেতে হয়, আবার ছাত্র-ছাত্রীদেরও পড়ালেখার ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক সংকট থাকলেও শিক্ষা অফিসার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে কচুয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন, শিক্ষক সঙ্কটের কথা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই সঙ্কটের অবসান হবে।