নিজস্ব সংবাদদাতা
স্বামী স্ত্রী ওরা প্রায় দুজনই প্রতিবন্ধী। স্বামী শারিরীক প্রতিবন্ধী আর তার স্ত্রী হচ্ছে হাবা গোবা সহজ সরল প্রকৃতির। তাদের নেই কোন সন্তান। শারিরীক প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান একটি হুইল চেয়ারে বসে স্কুলের সামনে বুট বাদাম বিক্রী করেন। আর তার স্ত্রী নাজুমা বেগম স্বামীর অগোচরে এ বাড়ি ও বাড়ি ঝিয়ের কাজ করেন। এমন অবস্থায় পাশের জোছনা নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরের কাজ না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নাজুমা বেগমকে বেদড়ক পিটুনি দেয় জোছনা বেগম। এ ঘটনার সংবাদ শুনে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবন্ধী মিজানের শ্বশুর বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ড চরবসন্ত গ্রামে গতকাল বুধবার বিকেলে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সহজ সরল প্রকৃতির নাজুমা বেগমকে পাশের বাড়ির প্রভাবশালী টেলু পাটওয়ারী স্ত্রী জোছনা বেগম তার নিজের বসত ঘরে কাজ করতে ডাকে। জোছনা বেগমের কথা মতো কাজ না করায় জোছনা বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিবন্ধী মিজানের স্ত্রী নাজুমা বেগমকে বেদড়ক পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে চুলের মুঠি ধরে টেনে হেঁচড়ে ঘরের বাহিরে নিক্ষেপ করে। এ সময় ডাক চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন নাজুমা বেগমকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ খবর পেয়ে এলাকার লোকজন জোছনা নিষ্ঠুর আচরনের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এলাকার ওয়ার্ড কমিশনার আমিন মিঝি ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের উক্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেয়।
তবে নাজুমা বেগমের স্বামী প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমান বলেন, আমাদেরকে অসহায় পেয়ে পাশের বাড়ির প্রভাবশালী জোছনা বেগম ইতিপূর্বে কয়েকবারই আমার স্ত্রী মারধর করেছে। একই ভাবে গতকালও তাকে বেদম মারধর করেছে। আমি এর সঠিক বিচাই চাই। মিজানের ভাই আলমগীর বলেন, আমার ভাইয়ের অসহায় স্ত্রীকে মারধরের বিষয়ে সুরাহা করতে আমরা আবার বসবো।
এ নিয়ে জোছনা বেগম উল্টো অভিযোগ তুলে বলেন, ঘটনাটি মীমাংসা হওয়ার পরও নাজুমার বাপের বাড়ির লোকজন তার বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা ছাড়াও তাকে মারধর করেছে। তবে তার বসত ঘরে ভাংচুরের কোর আলামত দেখাতে না পারলেও চতুর জোছনা বেগম বলেন, আমাকে তারা মারধরই করেছে।
জোছনার শ্বশুর ইব্রাহীম পাটওয়ারী বলেন, তার ছেলের বউ জোছনা যে কাজটা করেছে তা সে ঠিক করেনি। সে নিজে নারী হয়ে একজন অসহায় নারীর গায়ে হাত দেয়াটা জঘন্য অন্যায় করেছে। এ বিষয়টি আমরা মীমাংসা করে ফেলবো।