সুমন আহমেদ :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা টানা ১০ম বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় এবং মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম পুনরায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় আনন্দ মিছিল, শোকরানা মিলাদ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের উদ্যোগে বিশাল আনন্দ মিছিল ও শোকরানা মিলাদের আয়োজন করা হয়। ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের অস্থাযী কার্যালয় হইতে বিশাল আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে ছেংগারচর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ছেংগারচর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। শেষে আলোচনা সভা, শোকরানা মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, ছেংগার পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আলহাজ¦ রুহুন আমিন মোল্লা, পৌর যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান কামাল, পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রিপন সরকার’সহ আরো অনেকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ছেংগারচর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর যথাক্রমে সালাম খান, বোরহান উদ্দিন, রুহুল কুদ্দুস, আহসান হাবিব, রুহুল আমিন সরকার, ছানাউল্ল্যাহ খান, আবুল বাসার, সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম ফকির, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরদার, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি শরবত আলী, সাধারণ সম্পাদক আ. সাত্তার বাবু, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান প্রধান, পৌর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পাটোয়ারী, যুবলীগ নেতা হাসান ইকবাল প্রধান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল।
এসময় বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তার বিচক্ষণ নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় সুসংগঠিত। দেশরত্ন শেখ হাসিনা যোগ্য নেতাদের দায়িত্ব দিয়েই দলকে শক্তিশালী করেছেন। আমাদের কৃতিসন্তান জননেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীমায়া বীর বিক্রমকে দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব দেয়ায় মতলবের মানুষ অত্যন্ত গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত।
বক্তারা আরো বলেন, একসময় চাঁদপুর-২ নির্বাচনী এলাকা মতলব উত্তর-দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। আমার অভিভাবক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমের অক্লান্ত পরিশ্রম আর উন্নয়ন কর্মকান্ড, জনগন ও নেতাকর্মীদের প্রতি তার ভালোবাসায় আজ সেই বিএনপির ঘাঁটি ভেঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিণত করেছেন। তিনি শুধু মতলবে আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করেননি, তিনি এই মতলবকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন। যার কারণে মতলবের সর্বস্তরের জনগণ মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রমকে উন্নয়নের রূপকার উপাধি দিয়েছেন।